স্বাধীনতার আগে বজবজ ছিল সুভাষচন্দ্র বসুর অন্যতম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র। কবি নজরুল ইসলাম এখানে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে গিয়েছেন। এই বজবজেই কোমাগাতামারু জাহাজ থেকে নামিয়ে একদল স্বাধীনতা সংগ্রামীকে গুলি করে হত্যা করেছিল ব্রিটিশরা। বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে বিশ্বজয়ের মুকুট মাথায় স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকা থেকে ফিরে প্রথম পা রেখেছিলেন বজবজে। বজবজ এক পবিত্র পুণ্যভূমি এমনই দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের। আর সেই কথা সকলকে জানাতে অতীন হালদার নামে ওই ব্যক্তি ঐতিহাসিক ভূমির গৌরবগাথা প্রচারে বজবজ থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যান।
advertisement
আরও পড়ুন: আকাশছোঁয়া সোনার দামের মাঝেই নালায় বইছে লক্ষ লক্ষ টাকার সোনা! কুড়োতে হুড়োহুড়ি, তাজ্জব ঘটনা দুর্গাপুরে
মহালয়ার দিন তিনি বজবজ থেকে রওনা দেন। পিঠে ছিল একটি ব্যাগ। তাঁর গায়ে ভারতের পতাকা। নীচে বিবেকানন্দের ছবি। লেখা ছিল যাত্রাপথ বজবজ থেকে কন্যাকুমারী রক। ৬১ দিন ধরে হেঁটে তিনি কন্যাকুমারী পৌঁছন। এরপর তিনি ট্রেনে করে বাড়িতে ফেরেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই যাত্রা নিয়ে অতীনবাবু জানান, প্রতিকূলতা থাকলেও পথে মানুষের সহযোগিতা পেয়েছেন। অনেকে বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণও করেছেন। দিনে হয় বিস্কুট না হলে উপবাস। রাতে রুটি। এই খেয়েই প্রতিদিন এগিয়ে গিয়েছেন। এই যাত্রা শেষ করে তিনি বজবজে এসে পৌঁছলে তাঁকে নিতে রেলস্টেশনে অনেকেই আসেন। এই ঘটনায় খুশি বজবজের বাসিন্দারা। বজবজের গৌরবগাথা প্রচারে অতীনবাবুর এই কাজ উদাহরণ হয়ে থাকল সকলের কাছে।





