সরকারি নির্দেশ, সুন্দরবনের নদী খাঁড়ি এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এখন নদীতে কেউ মাছ ধরতে পারবেন না। এই সময় নদী এবং সুন্দরবনের খাঁড়িতে মাছ-কাঁকড়ারা ডিম পাড়ে। মাছ-কাঁকড়ার প্রজন্মকে রক্ষা করতেই সরকারি নির্দেশে এ সময় ওই জায়গায় সেগুলি ধরা নিষিদ্ধ। ফলে যে কয়েকমাস এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে, সেই সময়টায় মৎস্যজীবীদের বেকার বসে থাকতে হয়। যে কারণে সংসার টানতে নাজেহাল হতে হয় তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন করে দুর্যোগের সতর্কতা জারি সুন্দরবনে! আতঙ্কে ঘুম উড়েছে কুলতলী,কৈখালী,মৈপিঠে
এই সমস্যার সমাধানের জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল। যাতে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন মৎস্যজীবীদের প্রতিমাসে ভাতা দেওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি হয়ে ছিলেন মৎস্যজীবীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে সেই ঘোষণার পর বছর ঘুরেছে। আরও একটা ব্যান পিরিয়ড এসে গিয়েছে। কিন্তু, মৎস্যজীবীরা তাঁদের মাসিক ভাতা পাননি। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। একদিকে মাছ ধরা বন্ধ অন্যদিকে ভাতা ও বন্ধ সব মিলিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে মৎস্যজীবীরা কীভাবে চলবে তাদের সংসার তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন।
সুমন সাহা