দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার নাপিতখালি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক গৃহবধূর দেহ। জানা যাচ্ছে, মৃত মহিলার নাম অর্পিতা হালদার। বকুলতলা থানা এলাকার ভবানীমারিতে নিহত মহিলার বাপের বাড়ি। বছর চারেক আগে নন্দ হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অর্পিতার। তাদের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কে নানান কারণে অশান্তি লেগেই ছিল। এরই মধ্যে প্রতিবেশী যুবক সুব্রত সরদারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অর্পিতা। বিষয়টি জানাজানি হতেই অশান্তি আরও বেড়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকা যায়! অপরের জীবন বাঁচানোর মহৎ উদ্দেশ্যে মরণোত্তর অঙ্গদান পুরুলিয়ার দম্পতির
এক মাস আগে অশান্তির জেরে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান অর্পিতা। তার খোঁজে বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বহু ছোটাছুটি করেন। শেষ পর্যন্ত ওড়িশার একটি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন পরিবারের লোকজন। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই শ্বশুরবাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হল গৃহবধূর দেহ।
ঘরের মধ্যে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার ছোট মেয়ে। চিৎকার করে ওঠে সে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। দ্রুত অর্পিতাকে উদ্ধার করে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
