শহরের কোন নামি দামি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে আপনার ৩, ৪ বা ৫ বছর বয়সী সন্তানকে শিক্ষার জন্য ভর্তি করেছেন। প্রতিদিন যথাসময়ে শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া, টিফিন ও বাড়ির কাজ রেডি করে দেওয়া, আর্টের ক্লাস, স্কুলের নানা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য আরও নানা রকম ক্লাস ও কোচিং, বাসায় প্রাইভেট টিউটর ইত্যাদি নিয়ে আপনার ব্যস্ততার শেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে জেলার বারুইপুরে শিশু শিক্ষা সদন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হল ডিজিটাল ক্লাস।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মূলত বেসরকারি স্কুলগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪০০ বেশী। ডিজিটাল ক্লাস শুরু হওয়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে আরও আগ্রহ বাড়বে বলে মত। এর পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল ক্লাসরুম চালুর ভাবনা।
আরও পড়ুন: বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই, ঘরে ২ অন্ধ ছেলে…! দমে না গিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন গঙ্গাসাগরের রোহিণী
ডিজিটাল ক্লাসরুম সাধারণত সরকারি স্কুলে এই ধরনের ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায় না৷ তবে এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এই ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু হয়েছে৷ কম্পিউটার ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে পড়ার বিষয়বস্তুকে জীবন্ত করে তোলা হচ্ছে৷ ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে স্মার্ট বোর্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল ক্লাসরুমকে আরও আধুনিক করার। সবার পক্ষে বাড়িতে কম্পিউটার বা প্রজেক্টর কিনে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর ক্ষমতা নেই ৷ কারণ পরিবার শিশুদের অত্যাধুনিকমানের ব্যবস্থার মাধ্যমে পড়াশোনায় আগ্রহী করার স্কুলের প্রয়াস ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকার মানুষদের মধ্য। এই ডিজিটাল ক্লাসরুম আগামিদিনে অন্যান্য স্কুলগুলিকে পথ দেখাবে বলে মত স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের। এই ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুশী স্কুলের শিক্ষকরাও।
সুমন সাহা