সোমবার গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। গত চার বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা সুজন পাইকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মৌমিতার। এর পরে দুজনের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির লোক প্রথমে এই বিয়ে মেনে নিতে চায়নি। যৌতুকের দাবি করে শ্বশুরবাড়ি।
আরও পড়ুন- তুমি যে ঘরে কে তা জানত! খাটের তলায় ঘাপটি মেরে বসে চিতাবাঘ, তারপর হুলস্থুল কাণ্ড
advertisement
পরে সোনার গয়না, বাইক যৌতুক হিসেবে দেওয়ার পরে মেনে নেয় শ্বশুরবাড়ি। মৌমিতা মা হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোনও মতে মা হতে দিচ্ছিল না বলে অভিযোহ। জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাইয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। উল্টে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন মৌমিতা।
আবার ২ লক্ষ টাকা পণ দাবি করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শনিবার সকাল থেকে মারধর শুরু হয় নতুন করে। ফোনে বাপের বড়িতে সব জানান মৌমিতা। রবিবার বেলায় প্রতিবেশী মারফত মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পায় বাপের বাড়ি। ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায় বধূর দেহ। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মৌমিতার পরিবারের। এই ঘটনায় গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার পুলিশ স্বামী সহ শশুর-শাশুড়ি কে গ্রেফতার করে আজকের কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করে।
বিশ্বজিৎ হালদার