বাবা গৌরঙ্গ মাইতির দাবি, দুপুরে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল শিশুটি। হঠাৎ বেলা ৩ টেয় মা লক্ষ্য করেন, ছেলে তাঁর কাছে নেই। বহু খোঁজাখুঁজির পরে পুকুরে ভাসতে দেখা যায় শিশুটিকে। নিয়ে যাওয়া হয় মাধব নগর গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত শিশু নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসার পরে এলাকার কয়েকজন ওঝা ওই বাড়িতে আসে।
advertisement
আরও পড়ুন: আচমকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান, বাড়ি ঘিরে কেন্দ্রীয় বাহিনী
আরও পড়ুন: টলিউডে খুশির খবর, মা হলেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়
পরিবারকে তাঁরা শিশুটি মরেনি, বেঁচে আছে আশ্বাস দেয়। তাঁরা মৃত শিশুটিকে নিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ রাত ১২টা নাগাদ ওঝারা চলে যায়। এবং নির্দেশ দেয়, কেউ যেন দরজা না খোলে, সকালে ছেলে মা বলে ডেকে উঠবে। সকালে তেমন কোনও কিছু না ঘটার পরই অশান্তি শুরু হয়। বাড়ির লোক ভিতরে ঢুকে দেখেন, মৃতশিশুটি ততক্ষণে পচে গিয়েছে এবং শরীরে পিঁপড়ে ধরেছে। এই খবর শোনার পরে প্রচুর মানুষ এলাকায় এসে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি গ্রামবাসীদের।