টানা ১১ বছরের মন্ত্রীত্ব পদ আগেই গিয়েছে। এ বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র তমলুকের জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির সরকারি চেয়ারম্যান পদও খোয়ালেন। থাকার মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের হাতে থাকল পুর্ব মেদিনীপুরের অর্ধেক জেলা তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই বড় খবর! রাত পোহালেই প্রাথমিকের নিয়োগপত্র হাতে পাবেন ১৮৫ চাকরিপ্রার্থী
advertisement
সপ্তাহখানেক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে এসে চিত্তরঞ্জন মাইতির কথা বলেছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তিনি কোনও সরকারি পদে রয়েছেন কি না তা-ও জানতে চেয়েছিলেন। তার পরপরই এই পদোন্নতি। তমলুকের জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে চিত্তরঞ্জনের নাম ঘোষণা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি নির্দেশিকা জারি করে এই রদবদলের কথা জানানো হয়।
তারপর থেকেই অবশ্য শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। অনেকেই মনে করছেন, এর আগে তৃণমূলের নতুন নীতি ‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর কথা জানিয়ে সৌমেনকে সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছিল। তমলুকের সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পাশাপাশি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদটিও বহাল ছিল তাঁর। কিন্তু সেই পদটিও চলে যাওয়ায় অনেকে মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তও ওই নীতির জের হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর ছুটিতে দিঘার, মন্দারমনির প্ল্যান করেছেন! অনিশ্চিত বাস পরিষেবা
তবে অন্য গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। একইসঙ্গে সৌমেন মহাপাত্রের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, দল হয়তো ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র থেকে সৌমেন মহাপাত্রকে প্রার্থী করতে পারে। যা নিয়ে অবশ্য সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "বিষয়টা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে।"
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সফরে প্রশাসনিক বৈঠকের পর মমতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন চিত্তরঞ্জন। তাঁর ছেলে পার্থপ্রতিম মাইতি বর্তমানে তাম্রলিপ্ত পুরসভার কাউন্সিলর। পার্থর পরিচিতি সে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।
সুজিত ভৌমিক