২০১৯ এর সাত আগষ্ট স্কুলে গিয়েছিল সায়ন ঘোষ। তখন তার বয়স ১৬ বছর। কোনও কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় স্কুল থেকে আর বাড়ি ফেরেনি সায়ন।
বাড়ি পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি থানার তুনতুরি গ্রামে। কিন্তু সে থাকত মামার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ডাবচা বিলা গ্রামে। ছেলেকে ফিরে পেয়ে কান্না ধরে রাখতে পারেন নি তার মা মিতা ঘোষ। তিনি জানান, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে প্রায় ছয় বছর নিখোঁজ থাকার পর সেই আগষ্ট মাসেই ছেলেকে উদ্ধার করে এনে দিলেন চন্দ্রকোনা ফাঁড়ির ইনচার্জ (Rajesh Parua) রাজেশ পারুয়া। ছয় বছর আগেই নিখোঁজ এর অভিযোগ জানান হয়েছিল থানায়। কিন্তু ছেলে বাড়ি যেমন ফিরে আসেনি তেমন তাকে উদ্ধার করা যায়নি। বাড়িতে ওর একটি আঁধার কার্ড ছিল। যার নম্বর ধরে অনলাইনে সার্চ করার পর জানতে পারা যায় ওই নম্বরে ওড়িশা রাজ্যের ঠিকানা লেখা রয়েছে। সেই নথি নিয়ে গত ১৩ আগষ্ট থানায় গিয়ে জানালে ১৮ দিনের মধ্যেই আমার ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে পুলিশ।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় বছর ধরে নিখোঁজ থাকা সায়নের খোঁজ মিলেছে আধার কার্ডের সূত্র ধরে। ওড়িশায় পাঠান হয়েছিল টিম। তারা তাকে উদ্ধার করে এনেছে। শনিবার গড়বেতা আদালতে তোলা হয়, সেখান থেকেই বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে সায়ন বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরেছে। মন্দিরে রাত কাটান থেকে শুরু করে খাবারও খেয়েছে। পরে ওড়িশায় একটি বাড়িতে আশ্রয় হয় তার। সেখানে নিজেকে স্বাবলম্বী হওয়ার কাজ শুরু করে। নিতা জানান, ছেলে জানিয়েছে তার মায়ের কাছে থাকবে সে। তবে এতদিন কেন বাড়ি ফিরল না বা ফেরার চেষ্টা করল না, রাস্তা কি হারিয়ে ফেলেছিল, সেসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা মিতার কাছে।
তিনি বলেন, আদালত থেকে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যাব। ওর বাবা মানিক পেশায় সবজি চাষি ও ব্যবসায়ী।
পুরুলিয়া থেকে চন্দ্রকোনা আসছেন খবর পেয়ে ওখানের আধার কার্ডের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর বদল করে নিয়েছিল বলেও জানতে পারে পুলিশ। শুধু আধার কার্ডের নম্বর পরিবর্তন করতে পারেনি।