এই গ্রামের বাসিন্দাদের পাশে থাকতে তাঁদের জন্য এখান থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, পড়াশোনা ও খেলাধুলার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এলাকার বাসিন্দাদের দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ৷ এছাড়া গ্রামের ছোটদের দেওয়া হবে খেলাধূলা ও পড়াশোনার নানা সরঞ্জাম ৷ ২৭শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মূল অভিযান ৷ এইদিনই শুরু হবে ট্রেক ৷ আনুমানিক ৩ দিন ধরে ট্রেকিং করার পর শৃঙ্গের গোড়ায় ৫৩০০ মিটারে তৈরি করা হবে বেসক্যাম্প ৷
advertisement
এখান থেকে আরোহণের টার্গেট রয়েছে তাঁদের, জানিয়েছেন দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার ৷ আবহাওয়া ও পরিস্থিতি অনুকুল দেখে ফাইনাল সামিটের দিন স্থির করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ রুদ্রপ্রসাদ হালদার ছাড়াও এই অভিযানে রয়েছেন সোনারপুর আরোহীর আরও চার সদস্য ৷ তাঁরা হলেন রাহুল হালদার, চিকিৎসক উদ্দীপন হালদার, দেবাশিস মজুমদার ও অরুণাভ সাঁপুই ৷ এই অভিযান সফল করার লক্ষ্যে তারা বিগত কয়েকমাস ধরে একসঙ্গে ট্রেনিং করেছেন ৷ জানা গিয়েছে দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ধরে পশ্চিম গিরিশিরায় পৌঁছনোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের ৷
এই অভিযান শীতকালীন অভিযানের মধ্যেই পড়বে ৷ কারণ সাধারণত ২১ ডিসেম্বর থেকে ২১ মার্চের মধ্যে কোনও পর্বতের বেসক্যাম্প থেকে শৄঙ্গে আরোহণ করে আবার বেসক্যাম্পে ফেরত এলে তা শীতকালীন পর্বতারোহণের মধ্যে পড়ে ৷ এখনও পর্যন্ত শীতকালে পর্বত অভিযান সফল হয়নি ৷ কারণ এইসময় বরফ নরম থাকে ৷ ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও থাকে ৷ এই অভিযান সফল হলে আরোহীর মুকুটে তা নিসন্দেহে নতুন পালক হবে ৷