এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বনহুগলি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রগতি সংঘ প্রাথমিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড’-এর মাধ্যমে মাছ বিতরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় এই মাছ সরবরাহ করছেন। এর ফলে স্থানীয় মহিলারাও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পুকুর নয়, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের জলাশয়গুলিতেও মাছ চাষের জন্য এদিন ৬০ কেজি মাছ বিতরণ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মিটতে চলেছে আসল সমস্যা! এবার ফালাকাটা হবে গ্রিন আর গ্রিন! দুর্দান্ত পদক্ষেপ পুরসভার
খেয়াদহ এক নম্বর পঞ্চায়েতের এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত পুকুরে চাষের জন্য ২০ কেজি মাছ দেওয়া হয়েছে, যা প্রথমবার পেয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই মাছ বড় করে কলকাতার বাজারে বিক্রি করতে পারবেন, যা তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করবে। সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ছোট ছোট জলাশয় যাতে পরিত্যক্ত অবস্থায় না থাকে, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় চাষিদের আয়ের নতুন পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে। বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাট রুখতে এবং জলাশয়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছ চাষের মাধ্যমে চাষিদের আর্থিক সচ্ছলতাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই উদ্যোগ শুধুমাত্র জলাশয় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে না, পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাছ চাষের মাধ্যমে পুকুর মালিকরা যেমন উপার্জনের নতুন পথ খুঁজে পাবেন, তেমনই এলাকার বেকার যুবক ও মহিলারাও বিকল্প আয়ের সুযোগ পাবেন। প্রশাসনের এই পদক্ষেপ জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুমন সাহা