প্রসঙ্গত শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে প্লাস্টিকের অত্যাধিক ব্যবহার, অপরিশোধিত তরল বর্জ্য ফেলে রাখা, এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গাছ কেটে ফেলার মতো অভিযোগের শেষ নেই। প্রত্যেক সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় আর দূষণের প্রতিবাদে সম্প্রতি পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও বন দফতর আদালতে হলফনামা দাখিল করে।
advertisement
আরও পড়ুন: জল গরম করার রডে জমেছে পুরু সাদা স্তর! লেবু, নুনের সঙ্গে…৪ উপায়ে কয়েক মিনিটে চকচকে হবে ইমারসন রড
গত ৭ নভেম্বর, বোলপুরে সিনার্জি বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ এ প্রসঙ্গে বলেন, “সুভাষ দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবেশ আদালতে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে। রাজ্য সরকার বোলপুর সংলগ্ন শিবপুরে বিশ্বক্ষুদ্র বাজারে হস্তশিল্পীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা করছে। সোনাঝুরি হাটের আদলে বিকল্প হাটের পরিকল্পনা রয়েছে। আদালতের নির্দেশ মতোই ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ সাল থেকে সোনাঝুরি হাটের প্রসার হয়। অভিযোগ, সোনাঝুরি হাটে খাতায়-কলমে ব্যবসায়ীর সংখ্যা যেখানে ১৮০০ এর কাছাকাছি, তবে বাস্তবে সেখানে প্রায় চার হাজারের বেশি ব্যবসায়ী রয়েছেন। সপ্তাহের বুধবার বাদ দিয়ে বাকি ছয় দিন হাটে বসে। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তর বক্তব্য, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ হলফনামায় উল্লেখ করেছে, “বন দফতরের জমি দখল করে একাধিক বড় বড় রিসর্ট ও হোটেল গড়ে উঠেছে। এগুলোর কোনও ধরনের দূষণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়পত্র নেই।
আরও পড়ুন: পার্থর মতোই জেলে ছিলেন দীর্ঘদিন, এবার জেলমুক্তি ঘটছে SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশেরও
অপরিশোধিত বর্জ্য জঙ্গলে ফেলা হচ্ছে নিয়মিত। প্লাস্টিক ব্যবহার, অত্যাধিক জঞ্জাল ফেলা, গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ সামনে আসছে। এমনকী কংক্রিট দিয়ে গাছের গোড়া বাঁধানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। সব কিছুই পরিবেশ আদালতে তুলে ধরেছি। ১৪ নভেম্বর এই মামলার রায় দেবে জাতীয় পরিবেশ আদালত।”আর মূলত এই কারণেই হস্তশিল্প ব্যবসায়ীদের চিন্তা যদি আদালতে যাই তাদের পক্ষে না আসে তাহলে তারা কী করবেন!






