TRENDING:

৩০০ ফুট চওড়া নদী কমে ১৫ ফুট...! অবিশ্বাস্য ঘটনা, সাক্ষী বাংলার সোনাই নদী

Last Updated:

স্মৃতির স্রোতে হারানো সোনাই নদী, আর কি ফেরানো সম্ভব? একসময়ের সোনাই কোথাও পুকুর তো কোথাও নর্দমা!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ব্যারাকপুর: স্মৃতির স্রোতে হারানো সোনাই নদী, আর কি ফেরানো সম্ভব? একসময়ের সোনাই কোথাও পুকুর তো কোথাও নর্দমা! কেন জানেন? যমুনার শাখা নদী সোনাই ছিল একসময় উত্তর ২৪ পরগনার জেলার মধ্যবর্তী সাধারণ জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ইছাপুর সংলগ্ন কয়রাপুর গ্রামের একটি নিরীহ বিল থেকে উৎপন্ন হয়ে ব্যারাকপুরের মোহনপুর থেকে শুরু করে খড়দহের রুইয়া হয়ে পানিহাটি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল একটি দীর্ঘকায় নদী। তারই নাম ছিল সোনাই।
advertisement

এককালে ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট চওড়া ছিল তার বুক, যেখানে শান্ত অথচ প্রাণবন্ত স্রোতে বয়ে যেত জলরাশি। আজ তা ইতিহাসের পাতায়। কালের নিয়মে সেই সোনাই আজ শুধুই স্মৃতি। কোথাও তা ৭০-৮০ ফুটে সংকুচিত, কোথাও ১০-১৫ ফুটে এসে নিভু নিভু প্রদীপ শিখার নিঃশ্বাস ফেলছে। এমনকি বহু অংশে স্রোত একেবারেই স্থগিত।

আরও পড়ুন: পর্দার আড়ালে বিপদ…! কাঞ্চননগরে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে যা করল, জানলে আপনিও অবাক হবেন

advertisement

View More

সোনাই নদীর অংশ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার মোহনপুরের কালীপদ দাস ছিলেন প্রথম যে ব্যক্তি যিনি সোনাই নদী ঘিরেই বসতি গড়েন। এখন তার আশপাশে বহু ঘরবাড়ি গড়ে উঠেছে, যার অনেকটাই সোনাই নদীর খাতে। নদীর চেহারা বদলে গিয়ে এখন তা যেন শীর্ণকায় নর্দমার রূপ নিয়েছে। ১৯৭৬ সালে সিএমডিএ-র মানচিত্রে এই সোনাই নদীকে ঘিরে প্রায় ৫৬ টি জলাশয়ের উল্লেখ থাকলেও ১৯৯১ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৪৫ এ। এমনকি এও শোনা যায়, ১৯৯৭ সালের সোনাইয়ের নদী ও জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে একটি পরিবেশ মামলা ও দায়ের হয়। কিন্তু সব করেও শেষ রক্ষা হল কী? সেই সোনাই আজ শুধুই কানে শোনা। সাধারণ মানুষের জীবনের যা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, তা আজ চিরঘুমে! তবে পানিহাটির বুক চিরে একসময় বয়ে যাওয়া এই নদী এখন উন্নয়ন ও অবহেলার চাপে হারিয়েছে প্রাণ।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

কৃষি, নৌপরিবহন এবং জনজীবনের সঙ্গে যুক্ত এই নদী আজ এক নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাস হয়ে রয়েছে। অতীতের স্মৃতিতে ভেসে থাকা সেই সোনাই যেন সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছে— ফিরে পেতে চায় তার হারানো সত্তা। তবে আদৌ কি সম্ভব? প্রশ্ন শুধু সোনাই ঘিরে! সোনাই সংলগ্ন এলাকার প্রবীণ নাগরিকরা আজও এক টুকরো নদীর আশায় বুক বাঁধেন। এক সময় এই সোনাইকে ঘিরেই কত মৎস্যজীবীদের জীবন নির্বাহ হতো, আর আজ তারা পেশা বদলাতেও বাধ্য হয়েছেন। তাই এমন ঐতিহাসিক নদী সংরক্ষণের আবেদন তাদের। ফিরে পেতে চান জলের ঠিকানা। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করুক, এমন ঐতিহাসিক নদীর ইতিহাস। সাধারণ জনজীবনসহ প্রবীণ নাগরিকদের দাবি, এক টুকরো সোনাই এর আশায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন

শুভজিৎ সরকার

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
৩০০ ফুট চওড়া নদী কমে ১৫ ফুট...! অবিশ্বাস্য ঘটনা, সাক্ষী বাংলার সোনাই নদী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল