দুটো বাচ্চা হয়ে গিয়েছে এই আবস্থায় সংসার ভাঙ্গার কথায় সায় দেননি তার মা। হাবরা থানার শ্রীনগরে কাছাকাছি জায়গায় মহিলার বাবার বাড়ি ও শ্বশুড় বাড়ি ।প্রায় দিন মেয়ের সংসার সামাল দিতে এটা ওটা পাঠাতেন তার মা। শুক্রবার মাছের ঝোল রেঁধে নাতিকে দিয়ে পাঠিয়ে ছিলেন। পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র ছোট্ট নাতি গরম মাছের ঝোল নিয়ে ঠিকঠাক বাড়ি পৌছেঁছে কি না জানতে মেয়েকে ফোন করেন।তখন মেয়ের শ্বশুর বাড়ির প্রতিবেশী ও নাতির কাছ থেকে জানতে পারেন মেয়েকে পেটাচ্ছে জামাই। তড়িঘড়ি এক কাপড়ে দৌড়ে যান তিনি। মেয়ের উঠানে পা রেখেই দেখেন বটি নিয়ে মারতে যাচ্ছে জামাই।
advertisement
মেয়েকে বাঁচতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।জামাই প্রশান্তর হাত থেকে বটি কেড়ে নিতে সক্ষম হলেও চেলা কাঠ তুলে নিয়ে জামাই সটান বারি মারে শ্বাশুড়ির মাথায়। তার পরই জামাই বাড়ি ছেড়ে পালাতে যায়। প্রতিবেশীরা পথ আটকায় তার। গুরুতর আহত অবস্থায় মাকে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে আসে তার মেয়ে ও প্রতিবেশীরা।মাথায় কয়েকটি সেলাই দিয়ে চিকিৎসক তাঁকে ছেড়ে দেয়। সেখান থেকে হাবরা থানায় গিয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন বিউটি অধিকারী। এরপর স্বামী প্রশান্তের উপর মারধোরের অভিযোগ জানান তার স্ত্রী ৷ গতকাল মা সময় মত না আসলে বটির কোপে তার গলা দু টুকরো হয়ে যেত।বটি তুলে স্বামী প্রশান্ত বলে ছিল তোদের মেরে আমি জেলে যাব।তবে প্রশান্তকে রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং জেলেই রেখেছে। এদিন তাকে বারাসত আদালতে হাজির করাবে পুলিশ।