হুগলির পোলবার পুলকার দুর্ঘটনার পর যখন নড়চড়ে বসেছে দেশের উচ্চ আদালত তখন কিছু অসাধু পুলকার ব্যবসায়ী এখনো কলার তুলে শিশুদের জীবন নিয়ে খেলছে প্রতিদিন | হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে বারবার বিভিন্ন এলাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ, পুলকার সংগঠন, এমনকি বিভিন্ন অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে পুলকার গাইডলিনের পাঠ পড়িয়েছেন | কিন্তু তাতে কি? শিশুদের জীবন রক্ষার কোনও পদক্ষেপই এখনও নেওয়া গেল না | উত্তর হাওড়া ও বালি - বেলুড় এলাকার স্কুল গুলির ক্ষেত্রে যে পুলকার ব্যবহার হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি গাফিলতি নজরে এসেছে প্রশাসনের | এই পুলকার ব্যবহার করা ছাত্রছাত্রীরাও আতঙ্কে রয়েছে| তারাও জানাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতার কথা |
advertisement
কেউ কেউ জানিয়েছে, কাঠের দরজার ছিটকানি কখনও কখনও বন্ধ হয় না৷ তখন দরজা টেনে ধরে রাখতে হয় নিজেদেরই | আবার কেউ কেউ জানাচ্ছে কাঠের তৈরী টেবিলে বসতে গিয়ে তাতে লাগানো পেরেকে জামা প্যান্ট তো ছিঁড়ে যাচ্ছেই, কখনও কখনও আঘাতও পাচ্ছে পড়ুয়ারা | আর অভিভাবকদের দাবি ব্যবসা, চাকরি সামলাতে সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা করা তাদের কাছে সমস্যার | বাধ্য হয়েই পুলকারের ওপর তাদের ভরসা করতে হচ্ছে | তবে সাম্প্রতিক ঘটনায় তারাও দুশ্চিন্তায় | তাই এখন প্রশাসনের ওপরেই নির্ভর করে রয়েছেন তাঁরা | আর পুলকার চালকদের দাবি তারা শুধু মাত্র ড্রাইভারের কাজে তাঁরা নিযুক্ত, গাড়ির মালিক যা গাড়ি তাঁদের দেবেন, সেই গাড়ি তাঁরা চালান | গাড়িগুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হলেও পুলিশ তাঁদের ধরে না, কারণ মালিকের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক রয়েছে |
DEBASISH CHAKRABORTY