প্রতিবছর এই দিনে গ্রামের প্রতিটি ঘর আলো, ধূপ, প্রদীপ ও আনন্দের গানে ভরে ওঠে। সবাই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এবারে তা সম্ভব হল না। বাড়ির সামনে থেকে রাস্তায় জল, সব মিলিয়ে উৎসবের মেজাজ হারিয়েছে। কেউ কেউ মাচা বানিয়ে তার উপর সামান্য ফুল, প্রদীপ রেখে পুজো করেছেন। দু-একটি বাড়িতে পুজো হলেও আনন্দের উচ্ছ্বাস যেন জলেই ভেসে গিয়েছে।
advertisement
গ্রামবাসীরা জানান, দুর্গাপুজো থেকেও উৎসবের স্বাদ পাননি। এবার লক্ষ্মীপুজোতেও সেই একই ছবি। ঘরে লক্ষ্মী উঠল না। উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে পারছেন না মানুষ। বর্তমানে ডিঙি নৌকা বা কলার ভেলাই একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়াও কঠিন। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক বৃদ্ধ বলেন, “বৃষ্টি থেমেছে, জল কমেনি। তাই আমাদের ঘরে উৎসবের আনন্দই আসছে না”। ছোটরা খেলাধুলা করতে পারছে না, নারীরা ঘরে আটকে রোজকার কাজকর্ম করতে পারছেন না। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, দীর্ঘদিনের এই পরিস্থিতি মানুষের মানসিক অবস্থাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। কপিলা মাঝেমাটির এবারের লক্ষ্মীপুজোয় শুধুই একটাই প্রার্থনা, মা লক্ষ্মী ঘরে উঠুক, আবার ফিরুক স্বাভাবিক জীবন ও উৎসবের আনন্দ।