পঞ্চায়েতের আরও দাবি, সৌরশক্তি দ্বারা উৎপন্ন বিদ্যুতের কারণে প্রতিটি পঞ্চায়েতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। সৌরবিদ্যুত প্রকল্পে পঞ্চায়েতগুলি উপকৃত হওয়ায় এলাকার পথবাতি থেকে সেচকাজে ব্যাবহৃত পাম্প মেশিনগুলিও সৌরবিদ্যুত দ্বারা পরিচালিত করছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকে মোট ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় রয়েছে। ওই ব্লকগুলি কৃষিপ্রধান ও কয়লা খনি অঞ্চল হওয়ায় পঞ্চায়েতের রাজস্ব তথা আয় কম। এরই মধ্যে জনগণকে পরিষেবা দিয়ে বিশাল পরিকাঠামোর পঞ্চায়েত কার্যালয়গুলিতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: যত বন্যা তত টাকা…! শুধু চাতক নয়, বানভাসি বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকেন ইনারাও
একদিকে পঞ্চায়েতের রোজগারও কম অপরদিকে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিলের খরচ। তাই বিদ্যুৎ বিল মেটাতে ২০২২ সালে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বল্প খরচে সৌরবিদ্যুৎ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমত প্রথম পশ্চিম বর্ধমানের ওই ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ের ছাদে বসান হয় সোলার-পাওয়ার্ড প্যানেল। ওই সৌর প্যানেলগুলি সূর্যালোক শোষণ করে ও আলো থেকে ফোটন কণা সংগ্রহ করে। এই ফোটন কণাগুলি সৌর কোষের মধ্যে থাকা ইলেক্ট্রনগুলিকে উত্তেজিত করে, যার ফলে তারা পরমাণু থেকে সরে যায় এবং বিদ্যুৎ তৈরি করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোষগুলি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরাসরি বিদ্যুৎ আকারে থাকে, যা বিকল্প বিদ্যুতে রূপান্তর করার জন্য একটি ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়। এই বিকল্প বিদ্যুৎ তখন কার্যালয়ে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকে। এই সৌরশক্তি বিদ্যুতের জন্য বড় অঙ্কের বিদ্যুতের বিল মেটান থেকে মুক্তি পাবে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের পঞ্চায়েতগুলি।
দীপিকা সরকার