মগরার শেরপুর এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস (৩৬)। সাটারিং-এর কাজ করতেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে তাঁর স্ত্রী রত্না দাসের সঙ্গে বলাগড় নিত্যানন্দপুরের সুব্রত ভক্তের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে প্রসেনজিৎ-রত্নার ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন, তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রসেনজিৎ এই সম্পর্ক মানতে চাননি বলে দাবি পরিবারের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতেন সুব্রত-রত্না। এই নিয়ে স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয় প্রসেনজিতের।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বাড়ির দোরগোড়ায় রাতের অন্ধকারে হাজির ‘বন্য অতিথি’! যা করলেন হাওড়ার বাসিন্দা, সত্যিই প্রশংসনীয়

তাঁর মা কল্পনা দাস বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ সুব্রত মদ খেয়ে বাড়িতে আসেন। প্রসেনজিৎকে ডাকাডাকি করতে থাকে সে। তাঁকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলা হয়। সেই সময় প্রসেনজিৎ কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন দু’জনের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই ছুরি মেরে দেয় সুব্রত। আহত অবস্থায় প্রসেনজিৎকে মগরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে মগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করে, বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসবাদ করে।

advertisement

নিহত প্রসেনজিতের বোন ঘটনার খবর পেয়ে মগরা থানায় যান। তিনি বলেন, বৌদির সঙ্গে অনেক দিন ধরে সুব্রতর প্রেম। এই নিয়ে অশান্তি হত। কিন্তু ছেলের কথা ভেবে দাদা মানিয়ে চলত। আমার বৌদি তাঁর প্রেমিককে দিয়ে দাদাকে খুন করিয়েছে। দু’জনেরই শাস্তি চাই। মগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

advertisement