পূর্ব বর্ধমান জেলায় মিনিকেট রত্না,বাঁশকাঠি, লালস্বর্ণ-সহ সব চালের দাম ধাপে ধাপে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে । দু মাস আগে মিনিকেট চালের কেজি প্রতি দাম ছিল ৪২ - ৪৩ টাকা । সেখানে তা এখন ৫০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে । দুমাস আগে লালস্বর্ণ চাল বিক্রি হচ্ছিল ২৪ টাকায় । সেই চালের দাম এখন ৩৬ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে । রত্না চালের দাম ছিল ৩৬ টাকা, সেই চাল এখন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । বাঁশকাঠি চাল ৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল । কেজি প্রতি এখন বাঁশকাঠি চালের দাম ৭৫ টাকা ।
advertisement
আরও পড়ুন : বিনয়-বাদল-দীনেশের শিক্ষাগুরুর কর্মভূমি আজ আগাছায় ঢাকা, নিত্য বসে তাস ও নেশার আসর
ব্যবসায়ীরা বলছেন এ বার বর্ষায় সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিরা ধান ধরে রাখছেন । ধান বিক্রির প্রতি তাঁদের আগ্রহ কম । বৃষ্টির অভাবে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের ফলন কম হতে পারে এই আশঙ্কায় ধান বিক্রি করতে চাইছেন না অনেকে । আবার দাম বাড়তে পারে এই আশায় ধান ধরে রাখছেন সম্পন্ন কৃষকরাও ।
আরও পড়ুন : মালদহের শিল্পীদের হাতে বোনা বহুমূল্য ‘তিব্বতি গালিচা’ পাড়ি দিচ্ছে বিদেশ
ধানের ঘাটতি থাকায় চাল উৎপাদন কম হচ্ছে । চালের দাম বাড়ার সেটাও একটি অন্যতম কারণ । এ ছাড়া মিনিকেট চালের জন্য প্রয়োজনীয় ধান নেই । বর্ষার ধান উঠলে তা থেকে মিনিকেট চাল তৈরির কাজ গতি পাবে। সে জন্য আরও তিন চার মাস অপেক্ষা করতে হবে । তা ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে বেড়েছে পরিবহণ খরচও । তাই এখনই চালের দাম কমা তো দূরের কথা তা আরও খানিকটা বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ।