মনোহর হালদারের বাঁ হাতে কামড় দিয়েছিল বিষধর কেউটে সাপ। প্রথমে ওঝা-গুণিন। পরে বেগতিক বুঝে হাসপাতাল। ‘চাঁদ সওদাগর’ ওরফে মনোহরের দাবি, শৌচকর্ম করার জন্য মাঠে যেতেই বাঁ-হাতে কেউটে সাপ কামড় দেয়। তবে প্রতিবেশীদের দাবি,মনোহর হালদার মনসার পালাগান করেন জীবন্ত সাপ নিয়ে। সে-ই সাপ কামড় দেওয়ায় জখম হয়েছেন।
অন্যদিকে জয়নগরের গোচরণ এলাকার বাসিন্দা অর্পিতা সর্দার। তিনি গর্ভবতী। জানা যায়, তাঁর হাতেও বিষধর কেউটে সাপ কামড় দেয়। তড়িঘড়ি তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ক্যানিংয়ের দাঁড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এক গৃহবধূকেও কেউটে সাপ কামড় দেয়। প্রথমে ওঝা ও পরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জয়নগরের ধোষা গ্রামের বাসিন্দা রাজদীপ মণ্ডল নামে এক শিশুকে সাপে কামড় দেয়। তাকে তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।
advertisement
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্পবিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, ‘সাপ চোখে দেখে না, কানেও শোনে না। ফলে কাউকে চিনে কামড় দেয় না। এছাড়া সাপে কামড় দিলে ওঝা-গুণিনের কাছে যাওয়া মানে বিপদকে আরও ডেকে আনা। শিশু কিংবা গর্ভবতী… প্রত্যেককে একই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়।”
সুমন সাহা