দিঘা থেকে খেজুরি অবধি প্রায় ৭১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র তীর। এর মধ্যে রয়েছে উদয়পুর, নিউ দিঘা, ওল্ড দিঘা, তাজপুর, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, বগুরান জলপাই, রামনগর ও কাঁথি। এর পরে রয়েছে জেলিংহ্যাম। এই ৭১ কিলোমিটার অংশ জুড়ে রয়েছে একাধিক গ্রাম। ফলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মোকাবিলায় এই সব গ্রামের বাসিন্দাদের সরানোর ব্যবস্থা করে রাখা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কোথায় অবস্থান করছে সিত্রাং? সকাল থেকে কলকাতার আকাশে মেঘ
সিত্রাংয়ের জেরে স্বল্প ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে রামনগর, কাঁথি, খেজুরির মোট ৬টি ব্লকের। এর মধ্যে রামনগর ১ ব্লকের শঙ্করপুর থেকে তাজপুর অবধি জামড়া বাঁধের দিকে নজর চলছে জোর কদমে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, বাঁধ এলাকায় ব্ল্যাক স্টোন ফেলে চলছে কাজ৷ সেচ দফতরকে বলা হয়েছে ঠিকাদার মারফত আরও কর্মী পাঠাতে। এর পাশাপাশি এই সব এলাকায় প্রয়োজন হলে গ্রামবাসীদের দ্রুত সরানোর কাজ শুরু করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনার কি আচমকা ওজন বাড়ছে? খেজুর খাওয়া বন্ধ করুন! অবশ্যই জানুন
ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় পৌছে গিয়েছে এন ডি আর এফ ও এস ডি আর এফ আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খোঁজ নেওয়া হয়েছে ব্লকে বিদ্যুতের খুঁটি কতগুলি আছে। কোথায় কোথায় গাছ ভেঙে পড়তে পারে, কোথায় কোথায় বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জল গ্রামে ঢুকতে পারে। এছাড়া কোথায় কত কাঁচা বাড়ি আছে, কত বাসিন্দা সেখানে আছে। যাবতীয় তথ্য রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি এবার ত্রাণ শিবিরের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রয়োজনে সবাইকে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেখানে। যাতে ভিড়ে গাদাগাদি করে না থাকতে হয় সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর সমুদ্রতীরে যাতে অযথা ভীড় না জমে তা নিয়ে ক্রমাগত চলছে মাইকিং।