শুক্রবার শ্রীরামপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা থাকলেও, তা শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ, মৃতার বাবা-মায়ের অনুমতি না নিয়েই দেহ সরিয়ে নিয়ে আসা হয় কলকাতা পুলিশ মর্গে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তরুণীর পরিবার। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন— কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত তাঁরা চাইছেন না, ময়নাতদন্ত করতে হবে কল্যাণী এইমস বা কমান্ড হাসপাতালে।
advertisement
কুকুরের কামড়ে মারা গিয়েছিল ছাগল, সেই ছাগলের মাংসে বিষ মেশাতে মৃত ১৩টি কুকুর!
ফুটছে না বেলফুল? সাবান জলেই হবে কাজ…ভুরভুর করবে গন্ধ! সাদা ফুলে ভরে উঠবে টবের গাছ
ফলে সারারাত মৃতদেহ পড়ে থাকে কলকাতা পুলিশ মর্গে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। অবশেষে হুগলি রুরাল পুলিশের তরফে লিখিত আবেদন জানানো হয় কল্যাণী এইমস কর্তৃপক্ষকে। রাতেই রাজি হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার ভোরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পৌঁছয় পুলিশের একাধিক আধিকারিক। সেখানে ছিলেন কলকাতা পুলিশ এবং বেঙ্গল পুলিশের প্রতিনিধিরাও। ভোর থেকেই দেহ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। সকালেই মৃতার মা-বাবাও পৌঁছে যান মর্গে। এরপরই দেহ কল্যাণী এইমসের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত।
এই ঘটনার জেরে সিঙ্গুরে চাঞ্চল্য আরও বাড়ল। পরিবার বারবারই অভিযোগ তুলছে, কৌশল করে দেহ সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে— সব কিছু আইন মেনেই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরের নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সিঙ্গুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধৃতরা হলেন নার্সিংহোম মালিক সুবীর ঘোড়া ও রাধাগোবিন্দ ঘটন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ধৃত রাধাগোবিন্দ ঘটনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিহত নার্সিং পড়ুয়ার।
রাধাগোবিন্দ ঘটনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা এলাকায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়ে না করায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই নার্সিং পড়ুয়া, প্রাথমিকভাবে পুলিশের এমনটাই অনুমান।