সূত্রের খবর, ভোট দেবেন বুথের কর্মীরাই। জনসংযোগে দক্ষতা বেশি যাদের, এমনই তিন জন করে ব্যক্তির নাম চূড়ান্ত হচ্ছে ৷ গোপন ব্যালটে / স্লিপে তিনজনের নাম লিখে বাছাই করা হচ্ছে। সেটি পাঠানো হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতার কাছে। সেখান থেকেই পছন্দের প্রার্থী সম্পর্কে আন্দাজ করে নিচ্ছে দল। সেখান থেকেই একজনকে প্রার্থী করবে দল। এর ফলে একদিকে যেমন প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ ঠেকানো যাবে। দুই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী পাওয়া যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- সংক্রান্তির পরেই শনিদেবের গোচরে ঘুরতে চলেছে ভাগ্যের চাকা, আপনার কপালে কী আছে?
সূত্রের খবর, হুগলি জেলার সিঙ্গুরে ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে বাছাই হয়ে গিয়েছে। সেই নামের স্লিপ, বাক্স ভর্তি হয়ে আসছে দলের অন্দরে। এই মডেল রাজ্যের প্রতিটা বিধানসভায় কার্যত হতে চলেছে। এর ফলে দল মনে করছে স্বচ্ছতা আসবে। যোগ্যতম প্রার্থী খুঁজে বার করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রার্থী নিয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘দল নানা পদ্ধতিতে এগোচ্ছে। এটা ঠিক যোগ্যতম প্রার্থী বাছাই চলছে ৷ যোগ্যতম মানু্ষকেই বাছাই করা হচ্ছে। তাকেই খুঁজে বার করা হচ্ছে। আমরা প্রতি বুঝে ৫১-১০০% ভোট টার্গেট করে এগোচ্ছি।’’
আরও পড়ুন- শাহজাহানপুরে এ কী বাঁদরামি! নিস্তার পেতে বেবুন পুষছেন বাসিন্দারা
পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক সভায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের দিকেই তারা এগোবে। একই সঙ্গে বুথ স্তরে তাঁর কাজের পারফরম্যান্স এবং কতটা গ্রহণযোগ্য মানুষের কাছে সেটাও দেখে নেওয়া হবে। বহু ক্ষেত্রে একাধিক জায়গা থেকে স্থানীয় স্তরে প্রার্থী নিয়ে নানা অভিযোগ, নানা সমস্যার কথা উঠে আসে ৷ এক্ষেত্রে বুথ বা অঞ্চল কর্মীরা যদি নিজেরাই বেশ কয়েকজনের নাম বাছাই করে পাঠান তাতে সুবিধা দলেরই ৷ তবে যাদের নাম আসছে তাদের নিয়েও দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষা করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
