মাধ্যমিকে জেলাওয়াড়ি সাফল্যে, পূর্ব মেদিনীপুরের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে হেসেই ফেললেন পর্ষদ সভাপতি। হবে নাই বা কেন। সাফল্যের শীর্ষে থাকাই যেন অভ্যাসে পরিণত করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পরীক্ষার্থীরা।
- (অন্যান্য বছরের মতোই, এবারও) পূর্ব মেদিনীপুরে সাফল্যের হার সর্বাধিক
- ২০১৮ সালে পাসের হার ৯৬.১৩ শতাংশ
- ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৯৬.০৬ শতাংশ
advertisement
- ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৯৫.৪৮ শতাংশ
- ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৯৪.১১ শতাংশ
বারবার কীভাবে সফল বাংলার এই জেলা? স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন, পড়ুয়াদের শেখার ইচ্ছে, শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা। সেইসঙ্গে অনুকূল সামাজিক পরিবেশ। সব মিলিয়ে এক সফল সমীকরণ।
মাধ্যমিকে মেয়ে পেয়েছে ৬১১। বাবা হিসেবে প্রমথেশ দাস চৌধুরীর পরামর্শন, শুধু টাকা উপার্যনই নয়, ছেলে-মেয়েদের পাশেও থাকতে হবে অভিভাবকদের। তবেই তো মিলবে সফল রেজাল্ট।
আরও পড়ুন
ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন আঁকড়ে মাধ্যমিকে দশম লটারির টিকিট বিক্রেতার ছেলে শুভম রায়
স্কুলের কৃতী ছাত্র বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। আশিস ভক্তার মতে, সফল হওয়ার তাগিদ এই জেলার জিনগত বৈশিষ্ট্য। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে রাজনীতি। শিক্ষাকে হাতিয়ার করেই বাংলাকে পথ দেখিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। সাফল্য ধরে রাখার সেই ধারাই আজ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মন্তব্য ময়না কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপকের।
শারীরিক অসুস্থতাকে দূরে সরিয়ে, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছাত্রী পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল। পাশে ছিল মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষও। ছাত্রী পাস না করায়, প্রতিবছরের মতো এবারে ১০০ শতাংশ পাসের রেকর্ড ভেঙেছে। কিন্ত, আক্ষেপ নেই শিক্ষিকাদের। জীবনের যুদ্ধে অসুস্থ ছাত্রীকে অনুপ্রাণিত করতে পেরে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই মানসিকতাই হয়তো শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে জেলা পূর্ব মেদিনীপুরকে।