ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেশম সিল্কের বিশেষত্ব হল মসলিন কাপড়ে হাতের কাজের নকশা দেখলেই চোখে ধরছে। অনেক শাড়িরই ওজন ১০০ গ্রামের আশপাশে। তাই সাড়ে তিন হাজার টাকার আশপাশে দাম হলেও রেশম সিল্কের চাহিদা কিন্তু এবার ব্যাপক।
আরও পড়ুন- শিক্ষক দিবসে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেলেন হুগলির দুই শিক্ষক
এর সঙ্গে হাকোবা সুতির শাড়ির চাহিদাও ভালই। এই সারির পাড়ের কাজ অসাধারণ। সেই জন্যই ক্রেতাদের মন জয় করছে এই শাড়ি। দাম ১৪০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। আবার এক হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার অরগাঞ্জা শাড়িও ভালই বাজার ধরেছে।
advertisement
সেপ্টেম্বর মাস পড়তেই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাঁরা বলছেন, গত দু'বছর করোনার কারণে বাজার হয়নি বললেই চলে। এবার আবহাওয়া তেমন ভাল নয়। প্রচণ্ড গরম। তার মধ্যেই কিন্তু পুজোর বাজার শুরু হয়ে গেছে।
মহিলারা আসছেন। কাপড় কিনছেন। তাঁতের শাড়ির পাশাপাশি বাজার ভাল সিল্কের। রেশম সিল্ক, মটকা সিল্ক, তসর সিল্কের ভাল চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও গুজরাতে, পার্টি, প্যাচওয়ার্ক শাড়ির পাশাপাশি এবার চাহিদা ভাল তসরের নানা কাজের শাড়ির।
বিক্রেতারা বলছেন, সব ধরনের ক্রেতার চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেই জন্য ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের শাড়ি রয়েছে। এবার পুজোর বাজার ভালই জমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সায়েন্স অলিম্পিয়াডে চমকে দিল ছ'বছরের ছোট্ট আরুষি! ক্ষুদের একের পর এক কৃতিত্বে অবাক গোটা জেলা
বর্ধমানে মূলত ধাত্রীগ্রাম, ধনিয়াখালি, ফুলিয়া কালনা, বিষ্ণুপুর থেকে তাঁতের কাপড় আসে। এছাড়াও কলকাতা ও অন্য রাজ্য থেকে শাড়ি আনেন বিক্রেতারা। কম দামের তাঁতের শাড়ি চাহিদাও ভাল। হস্তচালিত তাঁতের শাড়ির চাহিদা বরাবরের। তবে এখন মেশিনে প্রচুর শাড়ির উৎপাদন হচ্ছে। দামটাও মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকছে।