কোন পদ্ধতিতে চাষ করলে লাভ বেশি, সেই বিষয়ে কৃষকদের সম্পূর্ণভাবে ‘গাইড’ করেন পড়ুয়ারা। এই ইন্টার্নশিপের জন্য প্রতি মাসে ছাত্রছাত্রীরা ৬ হাজার টাকা করে তিন মাসে মোট ১৮ হাজার টাকা পেয়েছেন। এখানেই শেষ নয়! এই ৫৪ জনের মধ্যে থেকে ২০ জনকে বেছে নেওয়া হবে। আগামী দিনে তাঁরা এগ্রিকানেক্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তার দরুণ প্রত্যেক মাসে ২০ হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড মিলবে। পরবর্তীতে এর থেকে স্থায়ী চাকরিরও সুযোগ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। এর থেকে যেমন পড়ুয়ারা কর্মসংস্থানের রাস্তা পেয়েছেন, তেমনই কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত কৃষিকাজের জ্ঞান বৃদ্ধি হয়েছে কৃষকদের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চা খেয়ে অসুস্থ ৪ জন, তদন্ত করতেই জানা গেল…! ছেলে-বৌমার ‘কীর্তি’ শুনলে শিউড়ে উঠবেন
এ বিষয়ে আইপিএল ফাউন্ডেশনের মেন্টর নন্দিনী রায় বলেন, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় কৃষকেরা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের কৃষি কাজে যুক্ত করতে চান না। সন্তানদের বিকল্প রোজগারের দিকে এগিয়ে দেন। কৃষকেরা যাতে কৃষিকাজ থেকে মুখ না ফেরান, বংশ পরম্পরায় যাতে কৃষিকাজ বেঁচে থাকে সেই কারণেই এই ইন্টার্নশিপ। এতে যেমন কৃষকেরা কৃষি নির্ভর হয়ে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন, তেমনই পড়ুয়ারা স্বনির্ভরতার পথ পাবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে পুরুলিয়ার সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত রাহা বলেন, আধুনিক কৃষিকাজ বা টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যে কৃষিকাজ প্রয়োজন কৃষকেরা সেই বিষয়ে অনেক কিছুই জানেন না। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সেই সম্বন্ধে কৃষকদের অবগত করছে। একইভাবে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের যে সমস্ত সুযোগসুবিধা রয়েছে সেগুলিও কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ইন্ডিয়ান পটাশ লিমিটেড (আইপিএল) এবং ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি কাউন্সিল (এনপিসি) এর একটি যৌথ উদ্যোগ এই অমৃত ইন্টার্নশিপ শুরু হয়েছে। যুব ও গ্রামীণ জনগণের মধ্যে বৃত্তিমূলক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই কাজ চলছে।