১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত, এই পাঠাগার এক সময় এলাকার ছাত্র-ছাত্রী ও জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছে ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বহুমূল্যবান পুরনো ও নতুন বই থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র গ্রন্থাগারিকের অভাবে পাঠাগারটি কার্যত অচল অবস্থায়। যার জেরে চরম সংঘাতের মুখে পড়েছেন এলাকার জ্ঞানপিপাসু ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য বিরাট খুশির খবর! এবার যা করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ…, জানলে খুশিতে লাফাবেন
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু বই থাকা সত্ত্বেও তারা পাঠাগারে প্রবেশ করতে পারছেন না যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এমতাবস্থায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী-সহ একাধিক পুস্তক প্রেমীরা। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ হোক, যাতে পাঠাগারটি চালু করা সম্ভব হয়। এমনকি পুস্তকপ্রেমীদেরও আবেদন, বইয়ের আঁতুড় ঘর এই গ্রন্থাগার, তাকে উন্মুক্ত করতেই হবে, যাতে বইয়ের জ্ঞানের আলো সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ভাটপাড়া পুরসভা অঞ্চলের পুরপিতা অরুণ ব্রহ্ম ও সমাজকর্মী সানি জানিয়েছেন, তারা একাধিকবার সাংসদ ও রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রীর কাছে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন এর তরফে কোন সুরাহা মেলেনি। তাই প্রশ্ন তো সেখানেই– চার দশকেরও পুরনো ঐতিহ্যবাহী পাঠাগার আবার কবে প্রাণ ফিরে পাবে? মিলবে কি জ্ঞানচক্ষুর আলো? তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এই সুপ্রাচীন গ্রন্থাগারের উন্মুক্ত দ্বার আলোর ছটার মত কাজ করবে গোটা অঞ্চল জুড়ে এমনটাই মনে করছেন সকলে।