শক্তিগড় থানার জোতরামে জাতীয় সড়কের পাশে একটি সোনার দোকানে এই শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটেছে। সোনার দোকানের মালিক স্বদীপ দাসের পেটে গুলি লাগে। ওই দুই দুষ্কৃতী সোনার দোকান লুঠ করতে গিয়েছিল। তা বুঝতে পারেন দোকানের মালিক। তিনি প্রাণ ভয় দূরে সরিয়ে দুষ্কৃতীদের মোকাবিলা করতে যান। এক দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরেও ফেলেন তিনি। তখনই খুব কাছ থেকে ওই দোকান মালিকের পেটে গুলি করা হয়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ দুই দুষ্কৃতী মোটর সাইকেলে আসে। তারা জাতীয় সড়কে মোটর সাইকেল দাঁড় করিয়ে সোনার দোকানে লুঠ করতে যায়।
আরও পড়ুন– শনির শতভিষা নক্ষত্রে পাড়ি, ভাগ্য খুলতে চলেছে এই চার রাশির!
দোকানের মালিক বাধা দিতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। গুলি দোকানদারের পেটে ঢুকে যায়। সেই অবস্থাতেও দোকানদার আততায়ীকে জাপটে ধরে রাখার চেষ্টা করে।
গুলির শব্দ পেয়ে এক ব্যবসায়ী ছুটে আসেন। কিন্তু তাঁকে রিভলভার উঁচিয়ে খুন করার ভয় দেখায় দুষ্কৃতীরা। এরপর আর তিনি বাধা দেওয়ার সাহস পাননি। আশপাশের লোকজন ছুটে আসার আগেই মোটর সাইকেল নিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। রক্তাক্ত দোকানদার স্বদীপ দাসকে উদ্ধার করে প্রথমে অনাময় ও পড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই শক্তিগড় থানার পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে । ঘটনায় আলোড়ন ছড়ায় এলাকাজুড়ে।
আরও পড়ুন-শনির শতভিষা নক্ষত্রে পাড়ি, ভাগ্য খুলতে চলেছে এই চার রাশির!
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের হদিশ পেতে সব ধরণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঘটনার পর পরই আশপাশের থানাগুলিকে অ্যালার্ড করা হয়। ওই দোকান বা তার আশপাশে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। তবে বর্ধমান যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কের ওপর অন্যান্য জায়গার সিসিটিভি ফুটেজের খোঁজ করছে পুলিশ। ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা বর্ধমানের দিকে চম্পট দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।