কারণ এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই শোলা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বহু বছর ধরেই এই গ্রামে শিল্পীরা শোলা দিয়ে ঠাকুরের সাজ, বিয়ের টোপর, মণ্ডপসজ্জা তৈরি করে থাকেন। তবে এই গ্রামেরই একজন শিল্পী ভিন্নভাবে ভাবছেন। বোলপুর থেকে সংগ্রহ করা ছোট আকারের মাটির মা দুর্গার মুখ, সেই মুখে শোলার সূক্ষ্ম কারুকাজ এবং শেষে কাঁচের ফ্রেমে বন্দি, এই ভাবনাতেই তৈরি হচ্ছে অসাধারণ সব শোপিস।
advertisement
আরও পড়ুন: জমি-জায়গা নেই…! চিন্তা কীসের? এবার বিনামূল্যে জমির লিজ, পেল ১২ পরিবার, জেনে নিন পুরো পদ্ধতি
শুধুমাত্র আলংকারিক উপাদান নয়, এগুলো এখন জনপ্রিয় উপহার সামগ্রীও। শিল্পী প্রদীপ মালাকার বলেন, “আমি একটু অন্যধরনের কাজ করি। এখন সারাবছরই বিশ্ব বাংলার সঙ্গে কাজ করছি। শোলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শোপিস আমি তৈরি করি। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা দামের শোপিস আমি তৈরি করি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই উদ্যোগ শুধু একজন শিল্পীর সাফল্য নয়, বরং পূর্ব বর্ধমানের গোটা গ্রামকে এক নতুন পরিচিতি এনে দিচ্ছে। বনকাপাসির মাটিতে জন্ম নেওয়া শোলা শিল্প এখন ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে। শোলার মত নরম উপকরণে তৈরি হচ্ছে শক্ত শিল্প-স্বপ্ন যা বলছে, ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সংযোগে গাঁথা ভবিষ্যতের গল্প।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী