TRENDING:

সিঁথিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, রাজকুমার সাহুর পরিবারের ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

Last Updated:

৩০ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পর আশুরা বিবি ফিরে আসে পুলিশের হাত ধরে। প্রথম দিন যা যা বলেছিল, ফিরে আসার পর সব বয়ান বদলে যায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: সিঁথি কাণ্ডে রাজকুমার সাহুর পরিবারের চারজনকে বৃহস্পতিবার লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা ডেকে পাঠানো হয়। ৪ জনের মধ্যে রাজকুমারের ভাই রাকেশ ও ছেলে বিজয়কে গোয়েন্দারা জেরা করে ও তাদের কথাবার্তার ভিডিও রেকর্ডিং করে। পরিবারের আশঙ্কা, পুলিশ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
advertisement

সিঁথি থানা ওই তিন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঘটনার দিন যে, আশুরা বিবি ওই থানার তিন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে, তারা তার ওপর এবং রাজকুমার সাহুর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছে। বর্তমানে আশুরা বিবির সেই সমস্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত দিকে ঘুরে গেছে।

advertisement

১১ তারিখ সকাল ৮টা থেকে আশুরা বিবি নিখোঁজ ছিলেন। অনেকে ভেবেছিলেন ওই মহিলাকে পুলিশ হয়ত কোথাও লুকিয়ে রেখেছে। হঠাৎ করেই ১২তারিখ সন্ধেবেলা পুলিশের সঙ্গে আশুরা বিবি পাইকপাড়ার ওই রাত্রি নিবাসে এসে উপস্থিত হয়। তার আগে রাজকুমার সাহুর ছেলে বিজয়ের বিরুদ্ধে একটি হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করে আসে টালা থানায়। এর ফলে পরিষ্কার হয়ে যায় ,ওই তিন অফিসারকে পুলিশ যে কোনও ভাবে বাঁচাতে চাইছে।

advertisement

রাজকুমারের পরিবারের সন্দেহ মৃত্যুর পরও রাজকুমারকে চোর হিসাবে সাব্যস্ত করতে পারে পুলিশ। এমনকি রাতের অন্ধকারে, ওই দোকানে চুরির মালপত্র ঢুকিয়ে দিয়ে মামলা করতে পারে সিঁথি থানা। দমদম চিড়িয়া মোড়ের সমর সরণীর নির্মীয়মাণ বিল্ডিং থেকে প্রোমোটারের কিছু মালপত্র চুরি গিয়েছিল ১৭ই জানুয়ারি। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই একমাস পরে রাজকুমারকে এবং আশুরা বিবি, দু'জনকে থানায় নিয়ে গিয়ে রীতিমতো চাপ ও মারধর করে স্বীকার করানোর চেষ্টা চালায় পুলিশ।

advertisement

ওই প্রোমোটার প্রদীপ পাল তিনি তার অভিযোগপত্রে কারোর নামে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করেনি সিঁথি থানায়।সবাই খুব আশ্চর্য, প্রদীপ পালের মালপত্র কিনে দেওয়া কিংবা এক লক্ষ দশ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য এত চাপ কেন দিল পুলিশ ? সমর সরনীর ওই বহুতলে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ১০ ফুট রাস্তার ওপর পাঁচতলা অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণ। আর সেখান থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায়, এই প্রোমোটারের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের ভালোই সম্পর্ক রয়েছে। নাম-না-জানা তে চাইলেও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, প্রদীপ পালের ওঠাবসা মেলামেশা বিষয় নিয়ে।

advertisement

রাজকুমারের পরিবারের লোকজন আজকে লালবাজারে আসার পর, হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা তাকে আশ্বস্ত করেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দেন। পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভরসা ছাড়া কোন উপায় নেই পরিবারের। এর আগে পুলিশের বিরুদ্ধে মৃত্যুর প্ররোচনার অভিযোগ, অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত কারোর উল্লেখযোগ্য কোনও শাস্তি হয়নি। সেই ইতিহাস জেনে সাহু পরিবারের লোকজনেরা অকাল মেঘের আশঙ্কা করছেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

Shanku Santra

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সিঁথিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, রাজকুমার সাহুর পরিবারের ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল