স্ত্রী সরকারি চাকরি পেলে তাঁর বদলি হয়ে যেতে পারে অথবা স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন, এই আশঙ্কা ছিল শের মহম্মদের৷ তাই স্ত্রী রেণু খাতুন সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেতেই তাঁকে সবক শেখানোর পরিকল্পনা করে শের মহম্মদ৷ সেই মতো এক আত্মীয়ের সাহায্যে মুর্শিদাবাদ থেকে দুই দুষ্কৃতীকে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া করে সে৷ তবে রেণুর হাত যে কেটে নিতে হবে, তা জানত না ভাড়া করা দুষ্কৃতীরাও৷
advertisement
আরও পড়ুন: হাত কেটে নিয়েছে স্বামী! বা-হাত দিয়েই লেখা শুরু! হাসপাতালেই শুরু রেনুর নতুন লড়াই
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে মোটরবাইকে করে রাত বারোটা নাগাদ কোজলসা গ্রামে শের মহম্মদের বাড়ি কাছে ভাড়া করা দুষ্কৃতীদেরপৌঁছে দেয় সেই আত্মীয়। রেণু খাতুন যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন শের মহম্মদ নিজেই দুষ্কৃতীদের বাড়িতে ডেকে নেয়।
আরও পড়ুন: শেষরক্ষা হল না, কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কেটে পালানোর ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত শের মহম্মদ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে এক দুষ্কৃতী রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরেছিল। অপর জন পা দু'টি চেপে ধরে। কিন্তু ধস্তাধস্তিতে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় মুখের বালিশ সরিয়ে ফেলেন রেণু৷ তখনই এক দুষ্কৃতী হাতুড়ি দিয়ে রেণুর মাথায় আঘাত করে৷ হাতুড়ির আঘাতে রেণু জ্ঞান হারালে শের মহম্মদ নিজেই স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে নেয়৷ কব্জি কাটতে একাধিক ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে অনুমান পুলিশের৷
কব্জি কাটার পর রেণুর জ্ঞান ফিরলে বাড়ির মধ্যে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা জেগে যায়। প্রতিবেশীদের সাহায্যে রেণু খাতুনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ। পুলিশ এখন সেই ভাড়া করা দুষ্কৃতীদের খোঁজে মুর্শিদাবাদ জেলার সম্ভাব্য জায়গাগুলিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। দুষ্কৃতী ভাড়া করে দেওয়া সেই আত্মীয়ের খোঁজেও কেতুগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে। ইতিমধ্যেই শের মহম্মদের বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷