TRENDING:

হাত কাঁপে, চোখ ঝাপসা, তবুও পেট বড় দায়! এই বয়সেও থেমে নেই লড়াই! বৃদ্ধ যা করছেন, দেখে চোখে জল আসবে

Last Updated:

দিনে গড়ে ২০০ টাকার মতো রোজগার হয়, সেই টাকাতেই চলছে সংসার। জীবনের এই কঠিন পথে তিনি কখনও ভেঙে পড়েননি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শান্তিপুর, নদিয়া, মৈনাক দেবনাথ: জালেই জড়িয়ে জীবন। ৮১ বছরেও থেমে নেই সুবোধ বাবুর সংগ্রাম। ভাগীরথীর পাড়ে, শান্তিপুরের গবার চর অঞ্চলে বসবাস করেন ৮১ বছরের সুবোধ সরকার। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে শরীর, দৃষ্টিশক্তিও আগের মতো নেই। তবু থেমে নেই জীবনের লড়াই। জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন জাল তৈরি।
advertisement

সুবোধবাবু জানান, মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি হাতে তুলে নেন সুতো আর কাঁটি। তখন থেকেই শুরু জাল বোনার কাজ। সেই কাজ আজও করে চলেছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও। নিজের হাতে জাল তৈরি করেন, আবার নিজেই বাজারে বিক্রি করেন। দিনে গড়ে ২০০ টাকার মতো রোজগার হয়, সেই টাকাতেই চলছে স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট সংসার। জীবনের এই কঠিন পথে তিনি কখনও ভেঙে পড়েননি।

advertisement

আরও পড়ুন : বর্ডার থেকে মাছের বিচরণ ক্ষেত্র, সবকিছু জানাবে ‘এই’ বিশেষ মেশিন! উচ্ছ্বসিত মৎস্যজীবীরা

দীর্ঘ সময় ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরে সংসার চালিয়েছেন, কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সামর্থ্য কমে যাওয়ায় এখন আর নদীতে নামতে পারেন না। তাই আজ তাঁর একমাত্র ভরসা এই জাল তৈরি। ৩০ বছর বয়সে যে কাজ তিনি শুরু করেছিলেন, সেই কাজ করে ৮২ বছর বয়সে এসেও পেট চালাচ্ছেন তিনি। সুবোধ বাবুর মনের এই জোর দেখে অবাক স্থানীয়রা।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

প্রতিবেশী কৃষ্ণ রাঁহা বলেন, “ছোটবেলা থেকে দেখছি সুবোধ দা জাল তৈরি করছেন। আগে মাছ ধরতেন নদীতে। এখন জাল তৈরি করেই সংসার চালান।” তাঁর গোটা জীবনটাই যেন এক জালের মতো। জড়িয়ে আছে পরিশ্রম, নীরবতা আর আত্মসম্মানে। সুবোধবাবুর মতো মানুষরা আজও আমাদের চোখে জীবন্ত প্রেরণা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হাত কাঁপে, চোখ ঝাপসা, তবুও পেট বড় দায়! এই বয়সেও থেমে নেই লড়াই! বৃদ্ধ যা করছেন, দেখে চোখে জল আসবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল