সুবোধবাবু জানান, মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি হাতে তুলে নেন সুতো আর কাঁটি। তখন থেকেই শুরু জাল বোনার কাজ। সেই কাজ আজও করে চলেছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও। নিজের হাতে জাল তৈরি করেন, আবার নিজেই বাজারে বিক্রি করেন। দিনে গড়ে ২০০ টাকার মতো রোজগার হয়, সেই টাকাতেই চলছে স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট সংসার। জীবনের এই কঠিন পথে তিনি কখনও ভেঙে পড়েননি।
advertisement
আরও পড়ুন : বর্ডার থেকে মাছের বিচরণ ক্ষেত্র, সবকিছু জানাবে ‘এই’ বিশেষ মেশিন! উচ্ছ্বসিত মৎস্যজীবীরা
দীর্ঘ সময় ভাগীরথী নদীতে মাছ ধরে সংসার চালিয়েছেন, কিন্তু বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সামর্থ্য কমে যাওয়ায় এখন আর নদীতে নামতে পারেন না। তাই আজ তাঁর একমাত্র ভরসা এই জাল তৈরি। ৩০ বছর বয়সে যে কাজ তিনি শুরু করেছিলেন, সেই কাজ করে ৮২ বছর বয়সে এসেও পেট চালাচ্ছেন তিনি। সুবোধ বাবুর মনের এই জোর দেখে অবাক স্থানীয়রা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিবেশী কৃষ্ণ রাঁহা বলেন, “ছোটবেলা থেকে দেখছি সুবোধ দা জাল তৈরি করছেন। আগে মাছ ধরতেন নদীতে। এখন জাল তৈরি করেই সংসার চালান।” তাঁর গোটা জীবনটাই যেন এক জালের মতো। জড়িয়ে আছে পরিশ্রম, নীরবতা আর আত্মসম্মানে। সুবোধবাবুর মতো মানুষরা আজও আমাদের চোখে জীবন্ত প্রেরণা।