‘Reduce, Reuse, Recycle’- এই মন্ত্র সামনে রেখেই গড়ে তোলা হয়েছে এই সেন্টার। অন্যের অপ্রয়োজনীয় জামাকাপড়, প্যান্ট-শার্ট কিংবা জুতো পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে নতুনভাবে ব্যবহারযোগ্য করে তুলে তা এখান থেকে মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। শুধু পোশাকেই সীমাবদ্ধ নয়, আগামী দিনে এই সেন্টারের মাধ্যমে বাড়ির উদ্বৃত্ত খাবারও সংগ্রহ করে বিতরণের ব্যবস্থা করার ইচ্ছা রয়েছে পুরসভার। এমনকি কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া বই কিংবা ফেলে দেওয়া শিশুদের খেলার টেডি বিয়ার অথবা ঘর সাজানোর বিভিন্ন সরঞ্জামও সংগৃহীত হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাংলার গর্ব! সুব্রত কাপের রানার্সদের জন্য বিশেষ আয়োজন, মহিলা ফুটবল টিম ফিরতেই যা হল…
এই প্রয়াসে সরাসরি সহযোগিতা করছে রাজ্যের পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অঙ্গ ‘মিশন নির্মল বাংলা’-র নির্মল সাথী ও নির্মল বন্ধুরা। তাঁরা প্রতিদিন সমাজের বিভিন্ন স্তরে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে এই সেন্টারে জমা দিচ্ছেন। সেখান থেকে বাছাই, পরিষ্কার এবং প্যাকেজিংয়ের পর তা বিতরণ করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন SUDHA-র ডাইরেক্টর, শান্তিপুর পৌরসভার সভাপতি সুব্রত ঘোষ, সিআইসি মেম্বার শুভজিৎ দে, নির্মল সাথী আধিকারিক ও নির্মল মিশনের সহকারী যোদ্ধারা। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে না, পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
শান্তিপুর পৌরসভার এই পদক্ষেপকে এলাকাবাসী ইতিমধ্যেই অভিনব ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এভাবে যদি শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এমন কেন্দ্র গড়ে ওঠে, তবে সমাজের অবহেলিত মানুষরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই পরিবেশও পরিষ্কার থাকবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ জানান নির্মল সাথী সদস্যারা এই পরিত্যক্ত জিনিস দিয়েই খুব সুন্দর ঘর সাজানো অথবা ব্যবহার্য উপকরণ তৈরি করেন। ইতিমধ্যেই পুরসভার ফুল মেলায় সেগুলি প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের পুরস্কৃত করে পুরসভা আরও উৎসাহ দিয়েছে। শুধুমাত্র পুরনো পোশাক-পরিচ্ছদই নয়, প্রান্তিক পরিবারের শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বিত্তবান পরিবারের সন্তানদের প্রচুর খেলনা সামগ্রী যা হয়তো সামান্য কিছু মেরামতি করলেই আবারও নতুনের মতো হয়ে যেতে পারে। পৌরসভার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।