পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরের গাড়ি এবং পেছনে থাকা শোভাযাত্রারই একটি মোটর ভ্যানের মাঝখানে তিনি চলে আসেন। একটি বাচ্চাকে গাড়ি থেকে নামাতে গেলে পেছনে থাকা মোটর ভ্যান অসাবধানতা বসত সামনের গাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে। পেছনের ইঞ্জিনভ্যানের ধাক্কাতে সেখানে গুরুতর আহত হয়ে হন সুজলা দেবী। এরপর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সুজলা দেবীর।
advertisement
আরও পড়ুন : মা-মেয়েকে শুঁড়ে তুলে আছাড়! বুনো হাতির হামলায় গৃহকর্তার সামনে শেষ পরিবার! জানলে ভয়ে গায়ে কাঁটা দেবে
অন্যদিকে বাচ্চাটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচে সে। তবে ঠিক কি পরিস্থিতি হয়েছিল তা বলতে পারছেন না অনেকেই। কারণ শোভাযাত্রায় আনন্দে মাতোয়ারা ছিলেন সকলেই। তবে অনেকে অনুমান করছেন, যথেষ্ট উঁচু ট্রাক্টরের ওপর বসানো সারিবদ্ধ বাচ্চাদের মধ্যে কেউ হয়তো নামতে চেয়েছিল। আর তাকে নামাতে গিয়েই হয়ত এই দুর্ঘটনা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ করা হয়নি। সুজলা দেবী স্বামী বহুদিন আগেই গত হয়েছেন। বর্তমানে তার দুই পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমত শোকগ্রস্ত গোটা পরিবার। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ যায় হাসপাতালে এবং মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট পুলিশ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বিষন্ন শোভাযাত্রা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনও রকম ভাবে কালী মায়ের প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে সকলেই পৌঁছে যান হাসপাতালে।