প্রথম দোল উৎসবের পর সপ্তম দোল। তবে এটি কোনও রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহের দোল নয়। এটি শ্রীঅদ্বৈতাচার্যের দোল বলেও পরিচিত। বড় গোস্বামী বাড়িতেও শ্রীঅদ্বৈতাচার্যের বিশেষ পূজার্চনা হয় এ দিন। শান্তিপুরের বাবলা অঞ্চলে শ্রী শ্রী অদ্বৈতাচার্যের সাধনপীঠ “অদ্বৈত পাট” এ বসে বিরাট সপ্তম দোল বা বাবলার দোলের মেলা। এই উপলক্ষে হয় সীতানাথের দোল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মেলা। দূরদূরান্ত থেকে হয় ভক্ত সমাগম।
advertisement
আরও পড়ুন : ১৫০ বছরের রাজস্ব আদায়ের অফিস আজ ভগ্নদশায়, ঐতিহাসিক ভবনের প্রাণ ফেরাতে সংরক্ষণের উদ্যোগ
উল্লেখ্য মন্দির নগরী নদিয়া জেলায় ১২ মাসের ১৩ পার্বণ। দোল পূর্ণিমা হোক কিংবা ঝুলন যাত্রা অথবা রাসযাত্রা ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে প্রত্যেকটি উৎসবই। এই জেলার নবদ্বীপেই জন্মগ্রহণ করেন কলিযুগের অবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। নীলাচলে যাওয়ার আগে তিনি পরিক্রমা করতে করতে এসেছিলেন শান্তিপুরে বলে এমনটাই জানা যায় ইতিহাস মতে। সেই কারণে দোল পূর্ণিমা বিশেষ করে গৌর পূর্ণিমা উৎসব পালন করা হয়ে থাকে নবদ্বীপ ও শান্তিপুরে মহাসমারোহে।