শান্তিপুরের হরিপুর মেলেরমাঠ এলাকার বাসিন্দা সমর শীলের ৫ বছরের মেয়ে গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল৷ বমিও হচ্ছিল শিশুটির৷ গত বুধবার মেয়েকে নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসাপাতালে যান৷ অভিযোগ, তখনই জরুরি বিভাগের ভিতরে বমি করে ফেলে অসুস্থ শিশুটি৷
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে গিয়ে ‘মৃত’ ব্যক্তি, শ্রাদ্ধের দিনই ঘটে গেল অলৌকিক কাণ্ড! হতবাক সবাই
advertisement
সমরবাবুর অভিযোগ, এর পরেই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে বমি পরিষ্কার করতে বলেন৷ তিনি কেন বমি পরিষ্কার করবেন, তা জানতে চান শিশুটির বাবা৷ অভিযোগ, তখন চিকিৎসক জানান সুইপার নেই বলেই তাঁকে বমি পরিষ্কার করতে বলা হচ্ছে৷ কারণ তাঁর মেয়েই বমি করেছে৷
এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মেয়ের বমি পরিষ্কার করছেন শিশুকন্যার বাবা৷ সেই ভিডিও-তে ওই চিকিৎসককে শিশুটির বাবাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আপনি ট্রেনে বাসে যখন যান তখন মেয়ের বমি পরিষ্কার করেন না? জবাবে শিশুটির বাবা বলেন, ঠিক আছে আপনার ব্যবহার আমার খুব ভাল লাগল৷ ডাক্তারবাবুর সঙ্গে আমি তর্ক করব না, ডাক্তারবাবুরা ভগবানের সমান৷ তখন ওই চিকিৎসক বলেন, সুইপার নেই বলেই বলা৷
বুধবার রাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে এলেও গতকাল এই ঘটনার প্রতিবাদ করে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সমর শীল নামে ওই ব্যক্তি৷ এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার তারক বর্মন৷
যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তন্ময় সরকারের দাবি, ওই শিশুকন্যার বাবা নিজে থেকেই মেয়ের বমি পরিষ্কার করার কথা বলেছিলেন, তাঁকে কোনও জোর করা হয়নি৷ ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘এর পরেও তিনি যদি অভিযোগ করেন, কিছু বলার নেই৷’
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অবশ্য কড়া তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর৷ শান্তিপুর হাসপাতালের ঘটনায় নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷ এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে নিন্দা করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও৷