২০১১ সালে প্রথম আয়োজন করা হয় শালবনি জাগরণ জঙ্গলমহল কাপ। সেই আয়োজন থেকেই শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত ফুটবল প্রশিক্ষণ। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে সাফল্যের ইতিহাস। ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০ সালে শালবনির মহিলা ফুটবল দল রাজ্যস্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে ২০২২ সালে শালবনি একাডেমির প্রতিভাবান কিছু মহিলা ও যুবক খেলোয়াড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে চাকরির সুযোগ পান।
advertisement
আরও পড়ুন : রান্নাঘর অতীত, এবার জার্সি পড়ে মাঠ কাঁপিয়ে দিচ্ছে সুন্দরবনের মেয়েরা! ফুটবলে চমকে দেওয়া সাফল্য
যা এই এলাকার আরও অনেক খেলোয়াড়কে উৎসাহিত করেছে। বর্তমানে এই ক্রীড়াঙ্গনে অনুশীলন করে বেঙ্গল টিমে খেলছে বহু ছাত্রছাত্রী। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত ফুটবলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও লিগে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজিরও গড়ছে এই মাঠের খেলোয়াড়রা। প্রতিদিন সকাল-বিকেল মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন ছাত্রছাত্রী অনুশীলন করতে আসে এই মাঠে। এর মধ্যে ১৭ বছরের নিচে প্রায় ১০০ জন পড়ুয়া নিয়মিত প্র্যাকটিসে অংশ নেয়। খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চায় তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনুশীলনের মধ্যেই তারা শিখছে শৃঙ্খলা, ধৈর্য, মনোযোগ এবং দলগত মানসিকতা। যা ফুটবলকে শুধু খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং জীবনের পথও দেখাচ্ছে। যেখানে বর্তমান প্রজন্মের বহু তরুণ-তরুণী মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে, সেখানে জঙ্গলমহল এলাকার শালবনির এই ক্রীড়াঙ্গন এখনও খেলাধুলার প্রতি টান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। ফুটবল কোচ এবং এলাকার মানুষজনের মতে, এখানকার শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস, পরিশ্রম এবং নিষ্ঠাই প্রমাণ করে, খেলাধুলার শক্তি আজও জঙ্গলমহলের মানুষের মনে অনুরণিত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ক্রীড়াঙ্গন তাই শুধু একটি মাঠ নয়, বহু পরিবারের স্বপ্ন, আশা এবং ভবিষ্যতের আলো হয়ে উঠেছে।





