TRENDING:

Langcha History: কীভাবে এত জনপ্রিয় হল শক্তিগড়ের ল্যাংচা! ইতিহাস শুনলে চমকে যাবেন

Last Updated:

Langcha History: শক্তিগড়ের ল্যাংচা! নাম শুনলেই জিভে জল আসে, তাই তো! এই ল্যাংচার ইতিহাস জেনে নিন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#শক্তিগড়: কৃষ্ণনগরের রাজকন্যার বিয়ে হয়েছে বর্ধমান রাজকুমারের সঙ্গে। সময়ের ব্যবধানে অন্ত:সত্ত্বা হলেন রাজকুমারী। খুশির হাওয়া রাজবাড়িতে। কিন্তু শুরু হয় অন্য এক বিপত্তি। কোনও খাবারেই রুচি নেই রাজকন্যার। একদিন যায়, দুদিন যায়, রাজ বৈদ্য, কবিরাজদের পথ্য বদল হয়, কিন্তু রাজকন্যার রুচি ফেরে না।
advertisement

চিন্তা বাড়তে থাকে রাজা রানী সহ সকলের। একদিন দেখা দিল আশার আলো। রানীমাকে রাজকন্যা একদিন বললেন, কৃষ্ণনগরে রসে ডোবানো এক ধরনের ভাজা কালো রংয়ের মিষ্টি খেয়েছিল সে। সেই মিষ্টি মিললে মুখের অরুচি কাটতে পারে।

আরও পড়ুন- চলতে-চলতেই হ‍ঠাৎ বিয়েবাড়ির বাসে দাউদাউ আগুন, চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল কাঁথিজুড়ে

কী সেই মিষ্টি! কে তার কারিগর! কিছুই জানে না সে। তবে যে ময়রার কাছে সে ওই মিষ্টি খেয়েছিল, সেই ময়রার একটি পা খোঁড়া, তাই সে একটু খুঁড়িয়ে হাঁটে।

advertisement

রাজকন্যার মুখে এই কথা শোনামাত্র রাজা তখনই কৃষ্ণনগরের লোক পাঠালেন। খোঁজ মিলল সেই ময়রার। খুঁড়িয়ে বা লেংচে হাঁটার জন্য তাকে সবাই ডাকতো ল্যাংচা ময়রা বলে।

রাজার আদেশে সেই ময়রা তখন রাজকন্যাকে ঘিয়ে ভাজা রসে ডোবানো কালো রংয়ের একটু লম্বাটে অপূর্ব স্বাদের সেই মিষ্টি খাওয়াল। সেই মিষ্টি খেয়ে রাজকন্যার এতদিনের অরুচি দূর হলো।

advertisement

রাজবাড়ির সবার মুখে  হাসি ফুটল। ল্যাংচা ময়রার নামেই সেই মিষ্টির নাম রাখা হল ল্যাংচা। ময়রাকে প্রচুর ভূসম্পত্তি ও উপহার দিলেন মহারাজ। সেই ময়রা বর্ধমানের শক্তিগড়ে নতুন বসতি গড়ে তুললেন। ল্যাংচা ময়রার তৈরি লাংচার সুনাম তখন ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। দিনে দিনে বিখ্যাত হল শক্তিগড়ের ল্যাংচা।

ছানার সঙ্গে চালগুড়ি মিশিয়ে তা নোড়ার মতো আকার দেওয়া হয়। এর পর তা তেল বা গাওয়া ঘিয়ে ভাজা হয়। তারপর ফেলা হয় চিনির রসে। পাঁচ টাকা বা দশ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হয়।

advertisement

আরও পড়ুন- 'নিধন নয়, উদ্ধার করুন', সর্প রক্ষায় ৫১ বছর ধরে নবগ্রামে চলছে মনসা পুজো  

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোয় খড়ের গহনা সজ্জায় প্রতিমা সহ নানা চমক দিতে প্রস্তুত এই ক্লাব
আরও দেখুন

আগে শক্তিগড়ের ছিল এই ল্যাংচার পসার। দুনম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির পর ব্যবসার বেশিরভাগটাই গাংপুরের কাছে আমড়া এলাকার উঠে আসে। এখানে এখন শতাধিক ল্যাংচার দোকান রয়েছে। মূলত জাতীয় সড়ক ব্যবহারকারীরাই এখানের ক্রেতা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Langcha History: কীভাবে এত জনপ্রিয় হল শক্তিগড়ের ল্যাংচা! ইতিহাস শুনলে চমকে যাবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল