২১ জুলাইয়ের ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চ থেকে ২০২৪ এ দিল্লি যাওয়ার ডাক দেবে তৃণমূল। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়ে যখন গলা মেলাবেন তৃণমূলের লক্ষ কর্মী সমর্থকরা, তখন খেজুরির এক কৃষক কবি ভাববেন তাঁর এক দশক আগে লেখা সেই কবিতার কথা। আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগে তৃণমূল নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়ে কবিতা লিখে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ থেকে সাইকেল চালিয়ে ২১-এর সমাবেশে, সম্মান অভিভূত অভিষেকের
সেই চিঠির উত্তরে খেজুরির প্রান্তিক কৃষক জলধর নায়েককে তাঁর কবিতায় খুশি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেসময় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। বাইশের একুশে জুলাইয়ের আগে আগে সেসব কথাই বেশি করে মনে করছেন খেজুরির এই বয়স্ক মানুষটি। কৃষি কাজে সাফল্যের জন্য তিনি বেশ কয়েকবার ব্লক প্রশাসনের তরফে কৃষকরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। খেজুরি এক নম্বর ব্লকের হেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জরারনগর গ্রামের বাসিন্দা জলধর নায়েক খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতেই দিনযাপন করেন। যেটুকু জায়গা আছে তাতেই কুমড়ো ঢেঁড়শ, লাউ, উচ্ছে বেগুন ফলান।
আরও পড়ুন: সঙ্গী ফিরহাদ-অরূপরা, ২১ জুলাইয়ের আয়োজন দেখতে মাঠে নামলেন মমতা
কোনও রাসায়নিক সার ছাড়াই সবজি চাষে সাফল্য তাঁকে ব্লক প্রশাসনের তরফে একাধিকবার কৃষক রত্নে ভূষিত করা হয়েছে। নব্বইয়ের কোঠায় বয়স জলধর বাবুর দিন কাটে চাষবাস আর কবিতা লেখায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অন্ধ অনুগামী তিনি। একুশে জুলাই সমাবেশে এবারে যাওয়ার ইচ্ছেও ছিল তাঁর। বয়সের কারণে যেতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার টিভিতেই চাক্ষুষ করবেন সব কিছু। তবে তাঁর ইচ্ছে, তাঁর এই কাজকর্ম একবার তিনি সাক্ষাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করবেন। সেসব পরের কথা। আজ শুধু ২১ শে জুলাই নিয়েই তাঁর যত ভাবনা। একইসঙ্গে তাঁর ভাবনায় একদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়েই তিনি দশ বছর আগে লিখেছিলেন কবিতা। ডাক মারফত সেই কবিতাই পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। উত্তরও পেয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছ থেকে।