শিয়ালদহ থেকে আসা শেষ ট্রেন আসার পর সামান্য সংখ্যক যাত্রীরা এক এক করে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে রওনা দেয় বাড়ির উদ্দেশে। ট্রেন ও কারসেডে জনশূন্য এবং নিস্তব্ধ হয়ে যায়, মধ্যরাতে রেলওয়ে প্লাটফর্ম। কয়েকজন মানসিক ভারসাম্যহীন বা আশ্রয়বিহীন মানুষ ছাড়া আর কেউই থাকে না সেখানে।
রেলে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা সুদীর্ঘ প্ল্যাটফর্মের অন্য প্রান্তে। যাত্রী না পেয়ে ফিরে যাওয়া টোটোচালক ইন্দ্রনীল পাল লক্ষ্য করে অন্ধকারে বসে এক যুবতী। মনমরা এবং তাঁর চোখে মুখে বিষাদ ও ভয়ের ছাপ। ইতিমধ্যেই টোটোচালক সুভাষ সিংহ, মানব বিশ্বাস, সজল বিশ্বাসরা পাশে এসে দাঁড়ান ওই যুবতীর। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পাশে দাঁড়ান।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রেমে পাগল হয়েছিলেন শোয়েব আখতার! বলিউড সুন্দরী পাত্তা দেননি! এর পর ‘বড়’ ঘটনা
জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানা যায়, মেয়েটির বাড়ি রানাঘাট। বাবার মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। মা এবং দিদি ও দিদির এক মেয়ে নিয়ে তাদের অভাবের পরিবার। তিনি কৃষ্ণনগরে একটি নার্সিংহোমে কাজ করেন। গতকাল পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তিনি।
নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সুযোগের প্রতীক্ষায় ছিলেন তিনি। পরিকল্পনা ছিল, ভোরের ট্রেন ছাড়লে রেললাইনে আত্মহত্যা করবেন। টোটোচালকরা তাঁকে জীবনের গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করে। অবশেষে প্রায় মধ্যরাতে দেড়টা নাগাদ তাঁর বাড়ি রানাঘাটে দিয়ে আসার প্রস্তাব দিতে তিনি রাজি হননি। তবে শান্তিপুরে গোবিন্দপুর নিকুঞ্জ নগর এলাকায় গৌতম মিস্ত্রি থাকেন, যিনি সম্পর্কে তাঁর মামা। সেখানে গিয়ে মামার হাতে ভাগ্নিকে মধ্যরাতে তুলে দেন তাঁরা।
Mainak Debnath






