যেমন টোটো আসার পরে সুবিধা হয়েছে। প্রত্যেক মানুষ খুব কম সময়ে নিজের বাড়ির দরজা দিয়ে কম পয়সায় পৌঁছে যাচ্ছেন তার সম্ভাব্য গন্তব্যে। ঠিক তেমনই অতিরিক্ত মাত্রায় টোটো রাস্তায় চলাচলের ফলে হচ্ছে বেশ যানজট। জাতীয় সড়কে টোটো চালানোর ফলে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনও একজন কখনও বা দু’জন অথবা শুধু চালক একাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভাড়া পাওয়ার আশায় আর এতে সকলেরই পেশার উপার্জনে পড়ছে টান। সুতরাং এবার সময় এসেছে এই টোটোকেই নিয়ন্ত্রণে রাখার।
advertisement
শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী হলে আইএনটিটিইউসির অনুমোদিত শান্তিপুর শহর যাত্রীবাহী টোটো ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল এক কর্মীসভা। যেখানে শহর অঞ্চলের প্রায় এক হাজার টোটো চালক উপস্থিত হন। এই কর্মী সম্মেলনে একদিকে যেমন নিজেদের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যে দিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হয় ঠিক তেমনই বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের সূত্র জানতে চাওয়া হয় উপস্থিত অতিথিদের কাছ থেকে।
এদিনের এই কর্মী সম্মেলনে টোটো চালানোর অনুশীলন এবং টোটো ড্রাইভারদের ওপর একাধিক নিয়ম-কানুন আনতে চলেছে চালক ও যাত্রী উভয়ের সুবিধার্থেই। গ্রামের টোটো যাত্রী নিয়ে শহরে ঢুকলে সেই যাত্রী নামিয়ে শহর থেকে তোলা যাবে না কোনও যাত্রী।
একই নিয়ম বর্তাবে শহরের টোটোর ওপরেও। প্রত্যেকটি টোটোকে পুরসভার তরফ থেকে তার নিজস্ব নম্বর দিয়ে একটি বারকোড করে দেওয়া হবে। ওই বারকোড স্ক্যান করলেই টোটোর সম্পূর্ণ তথ্য ও নথি পাওয়া যাবে। বারকোড বিহীন টোটো চালানো অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এছাড়াও একাধিক ছোট বড় নিয়ম চালু হতে চলেছে যাতে আখেরে সুবিধে হবেই সকলেরই।
Mainak Debnath





