পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের জমিতে ৭১ বছর ধরে পুজো হয়। কিন্তু মহেশতলা পুরসভা দাবি করছে, উদ্বাস্তু বিভাগ তাদের এই জমি দিয়ে দিয়েছে। সেই কারণে এই জমিতে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হবে।
advertisement
এদিকে দুর্গাপূজার জন্য প্রায় অর্ধেক প্যান্ডেল তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মাঠের দু’টি গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় মণ্ডপ তৈরির কাজ। পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অবাক হয়ে পড়েছেন সকলে।
এ নিয়ে পুজো উদ্যোক্তা বাপ্পা কর বলেন, এই বছর ৭২তম বর্ষ। এটা একটি শিশু উদ্যান, এখানে পৌরসভা কমিউনিটি হল করতে চায়। কমিউনিটি হল তৈরির বিরোধিতা করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও চলছে। সেই জনস্বার্থ মামলা করে উদ্বাস্তু উন্নয়ন সমিতি। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সেই উদ্যানের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুজোর অস্থায়ী প্যান্ডেল নির্মাণের জন্য হাইকোর্ট থেকে গত ৩ সেপ্টেম্বর রায় দেওয়া হয়। তারপর মাঠে কিছুটা প্যান্ডেল করা হয়। হঠাৎই চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আবার তালা দিয়ে দেওয়া হল। দুর্গাপূজা করার জন্য আবারও আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা। একসময় চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দুলাল দাস নিজেও এই ক্লাবে ছিলেন।
এ নিয়ে মহেশতলার বিধায়ক তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেন, “মহামান্য বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছেন পুজো হবে, তবে অস্থায়ীভাবে করতে হবে। এখন পরবর্তী শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হবে”।







