খাদ্য দপ্তর থেকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হলে ক্রেতারাও উপকৃত হবেন। প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের কোনও সামগ্রী কেনার দরকার হলে দূরে শহরে আসতে হয়। তাতে সময় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাড়তি খরচও হয়।
রেশন দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া গেলে দূরে যেতে হবে না। ন্যায্য দামের মধ্যেই সব কিছু পাওয়া যাবে। রেশনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে খাদ্য দপ্তর।
advertisement
আরও পড়ুন- রাস্তায় বোমাবাজি, মথুরাপুরের কৃষ্ণরামপুরে ছড়াল আতঙ্ক
তারা জানিয়েছে, জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠী, স্থানীয় এমএসএমইগুলিকে সহযোগিতা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত সামগ্রী বিক্রি করে রেশন দোকানের মালিকরাও কিছুটা বাড়তি আয় করতে পারবেন। ক্রেতারাও ঘরের কাছে বাজারের থেকে কম দামে উন্নতমানের সামগ্রী কিনতে পারবেন।
জানা গিয়েছে,স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সঙ্ঘ, মহাসঙ্ঘ বা স্থানীয় ছোট উদ্যোগপতিরাও তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী রেশনের দোকানে বিক্রি করতে পারবেন। এ জন্য তাঁদের জেলার ফুড কন্ট্রোলার অফিসে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। তা আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবেন।
রেজিস্টার্ড সংস্থাগুলিই এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। উৎপাদিত সামগ্রীর মান ঠিক থাকলে তবে তা বিক্রির অনুমতি মিলবে। বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রীগুলির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। আবেদনের ৪৫ দিনের মধ্যেই উৎপাদিত সামগ্রীর টেস্ট রিপোর্ট জেলা অফিসে জমা পড়বে।
এ জন্য প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কমিটি (ডিএলএসসি) থাকবে। তারাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সব কিছু পরীক্ষার পর কোন কোন উৎপাদিত সামগ্রী রেশন দোকানে বিক্রি করা যাবে, তার তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকা থেকে রেশন দোকানের মালিকরা স্থানীয় এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী সামগ্রী রাখবেন।
আরও পড়ুন- তছনছ করবে কালবৈশাখী..? ৩০থেকে ৪০ কিমি বেগে হাওয়া! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সতর্কতা!
প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র তালিকায় থাকা সামগ্রীই বিক্রি করা যাবে। অন্য কোনও সামগ্রী তাঁরা বিক্রি করতে পারবেন না। প্রতি ছ'মাস অন্তর এই বিষয়টি নিয়ে জেলার আধিকারিকরা রিভিউ করবেন।
উৎপাদিত সামগ্রীর চাহিদা কেমন রয়েছে তা দেখা হবে। এ ব্যাপারে ক্রেতাদের নিয়ে মতামতও জানতে চাওয়া হবে। তবে কোনও সামগ্রী বিক্রি করার ক্ষেত্রে রেশন দোকানের মালিকরা ক্রেতাদের জোর দিতে পারবেন না। প্রতিটি সামগ্রী দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখতে হবে।