নিজের জাহাজ বাড়ি নিয়ে বিতর্কে পড়ে শুভেন্দু অধিকারীর নামই বারেবারে মুখে আনলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা নন্দীগ্রামের তাবড় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। শুভেন্দুর বিরোধিতা করে কোনও বক্তব্য নয়। সুফিয়ান আজ জানিয়েছেন, বাড়ির জন্য নেওয়া তাঁর ঋণ তিনি শুভেন্দু অধিকারী ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যান থাকাকালীনই পেয়েছিলেন!
advertisement
এদিকে, নিজের সুবিশাল জাহাজ বাড়ি তৈরির জন্য নেওয়া ঋণ পরিষোধ না করায় ব্যাঙ্কের আইনি নোটিশ এসেছে শেখ সুফিয়ানের কাছে। যা নিয়ে তিনি সরব ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। লোক আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শেখ সুফিয়ান। শুধু জাহাজ বাড়ি নয়, ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ট্রলার কিনেও ব্যাঙ্কে টাকা না মেটানোর অভিযোগ উঠেছে সুফিয়ানের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোন, তাতেই স্পষ্ট পরিকল্পনা! পাল্টা ট্যুইট তামিলনাড়ু থেকে
সুফিয়ানের দাবি, ২০১৪ সালে শুভেন্দু অধিকারী চেয়ারম্যান থাকাকালীন কন্টাই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে তিনি জাহাজ বাড়ি করেছিলেন। শেষের দিকে বেশ কিছু লোনের কিস্তির সুদ বাদ দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে বলেছিলেন তিনি। ব্যাঙ্কে যে টাকা লোনের ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে, সেই টাকা লোন শোধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যের কাগজ, এ রাজ্যে মাঝরাতে পোড়ানো কেন হল? বিরাট ষড়যন্ত্র! কী ছিল সেই কাগজে জানেন!
এ ছাড়াও ২০২০ সালে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে তিনি একটি ট্রলার কেনেন। করোনাভাইরাসের কারণে ব্যাঙ্ক শেখ সুফিয়ানকে ট্রলার হস্তান্তর করেনি। ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রলারটি শেখ সুফিয়ানের হাতে হস্তান্তর করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সুফিয়ানের দাবি, ''যেদিন থেকে ট্রলারটি আমাকে হ্যান্ডওভার করা হয়েছে সেই দিন থেকে ইন্টারেস্ট সহ লোনের টাকা নিক। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ২০২০ সাল থেকে সুদসহ লোনের টাকা চাইছে।'' ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি করছে বলে অভিযোগ শেখ সুফিয়ানের। এ নিয়ে লোক আদালতে ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সুফিয়ান।
এদিকে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কোনও কিছু বলতে না চাইলেও তাদের বক্তব্য, মার্চ মাস শেষ হওয়ার পর নিয়ম মেনে অনাদায়ী টাকার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। টাকা না পেলে পরবর্তী সময়ে আবারও নোটিস যাবে। সবকিছু দেখে শুনে তাল ঠুকতে শুরু করেছে বিজেপি।