ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, ২০১৯ নির্বাচনের পরে অনেকের মতোই তিনি গিয়েছিলেন বিজেপিতে। বিজেপির হয়ে চুটিয়ে রাজনীতি করছিলেন। অর্থাৎ দাদা অনুব্রতর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই রাজনীতির অঙ্গনে নিজের পরিচয় দৃঢ় করতে থাকেন তিনি। ক্রমে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পদোন্নতি হয়। তিনি বীরভূম জেলায় বিজেপির যুব মোর্চার পদাধিকারী হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু বছর তিনেকের মধ্যেই সমীকরণ পাল্টে যায়। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। তার পরেই শুরু হয় ঘরওয়াপসি। বিজেপি-তে যোগদান করা অনেক তৃণমূল নেতাই ফের দলে ফেরেন। দলে ফেরেন সুমিতও। চন্দ্রনাথ সিনহার হাত ধরে তিনি ফিরে আসেন তৃণমূলে। তার পর থেকে তিনি তৃণমূলেরই ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বোলপুর পৌঁছেই তৎপর CBI, অনুব্রতর CA-কে জিজ্ঞাসাবাদ, তলব ২ ব্যাঙ্ক আধিকারিককে
আরও পড়ুন: আজই অনুব্রতর মেয়ে, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা! বোলপুরে যাচ্ছে সিবিআই
হাই কোর্টে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের মারাত্মক অভিযোগের পর অবশ্য পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনিও। অভিযোগ ওঠার পরেই সটান তিনি থানায় হাজির হন অভিযোগ দায়ের করতে। সেখানে তিনি দাবি করেন, টেট পাশ না করে তিনি চাকরি পেয়েছেন, এমন অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। তিনি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন একাধিক নথিপত্র। যদিও আদালতের বিষয়ে নতুন করে নাক গলাতে চায়নি পুলিশ। অভিযোগ জমা নিতে অস্বীকার করেন তাঁরা।
আদলতের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার সুমিতের হাজিরা দেওয়ার কথা আদালতে। অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকেও হাজিরা দিতে বলেছে আদালত। মোট ৬ অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে আদালতে নিয়োগের নথিপত্র নিয়ে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইন্দ্রজিৎ রুজ