বাগদি পুকুর। ঠিকানা বাঁকুড়ার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মলডুবকা। কমবেশি ৩০০ পরিবারের বাস। পানীয় জলের জন্য না হলেও স্নান, কাপড় কাচা-সহ বিভিন্ন কাজে বাগদি পুকুরই ভরসা তাঁদের। কিন্তু সেই পুকুরেই নজর পড়েছে জমি মাফিয়াদের। মালিকদের ভুল বুঝিয়ে আস্তে আস্তে পুকুর বোজাতে নেমেছিল মাফিয়ারা। পুকুর সংস্কারের নামে সমস্ত জল বের করে দিয়ে চলছিল পুকুর ভরাট। এমনকী পুকুর বিক্রি করতেও পিছপা হননি মালিকেরা। কিন্তু এলাকার একমাত্র পুকুরকে হাতছাড়া করতে রাজি নন বাসিন্দারা। পুকুর বাঁচাতে জোটবেঁধে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।
advertisement
এলাকার মানুষের প্রতিবাদের কথা কানে যেতেই আসতে থাকে বিভিন্ন হুমকি। ফোনে বা সামনাসামনি ভয় দেখানোর অভিযোগ জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। পিছু না হঠে প্রশাসনকে জানান আন্দোলনকারীরা। পুকুর পাড়ে মানববন্ধন করে চলে প্রতিবাদ। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
এলাকার মানুষদের অভিযোগ, কাউন্সিলর সবকিছু জেনেও নিষ্ক্রিয়। চাপে পড়ে কাউন্সিলরের অবশ্য দাবি, আন্দোলনের দরকার ছিল।
চড়া রোদ আর কাঠফাটা গরমে জেরবার মানুষ। বাঁকুড়ার মতো খরাপ্রবণ এলাকায় জলের সংকট নিত্য সমস্যা। জলের যোগানে ভরসার পুকুর বা জলাশয় বোজানো রুখতে তাই কোমরবেঁধে নেমেছেন মানুষ।