এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তাদের কারও চার বছর আগে আবার কারোর দশ বছর আগে মৃত্যু হয়েছে। এমনকি ২০-২৫ জনের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে তারা এলাকায় থাকে না। ১০-১২ বছর আগে তাঁরা কর্মসূত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলে গিয়েছেন।
advertisement
এ বিষয়ে মৃত প্রফুল্ল রানার স্ত্রী মিনতি রানা জানান, ”চার বছর আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছে। সরকারি কাগজপত্র রয়েছে। রেশন কার্ডেও মৃত। রেশন মিলছে না। কিন্তু ভোটার লিস্টে আমার স্বামী জীবিত। বিষয়টি আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না।”
মিনতি রানার মত মৃত কাশীনাথ রানার স্ত্রী বৈশাখী রানা অভিযোগ করেছেন, “দশ বছর আগে আমার স্বামী মারা গিয়েছে। সরকারি কাগজপত্র রয়েছে। মারা যাওয়ার কারণে রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত। কিন্তু ভোটার লিস্টে আমি দেখলাম, আমার স্বামীর নাম রয়েছে। এ বিষয়টি পঞ্চায়েতের সদস্যকে জানালে পঞ্চায়েত সদস্য বলেন ভোটার লিস্টের নাম থাকবে এখন কাটা যাবে না।”
ভোটার লিস্টে এইরকম নাম থাকায় শাসক-বিরোধী দুই দল দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এপ্রসঙ্গে মথরাপুর বিজেপির সংগঠনিক জেলা কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, তৃণমূলের সম্পদ এই ভূতুড়ে ভোটার। আমরা চাইব ভোটার লিস্ট সংশোধন করা হোক।
যদিও এই বিষয়ে গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাগর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ পাত্র বলেন, বিজেপি সরকার এজেন্সি দ্বারা ভোটার লিস্টে কারচুপি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আমরাও চাই ভোটার লিস্ট সংশোধন করা হোক।
নবাব মল্লিক