আরও পড়ুনঃ ছোঁয়া যাচ্ছে না সবজি-মাছ-মাংস, হাত দিলেই ছ্যাঁকা দিচ্ছে মিষ্টি! ভাইফোঁটায় নাজেহাল বোনেরা
রেকর্ড সংখ্যক বিশেষ ট্রেন পরিষেবা: কলকাতা ও শিয়ালদহ থেকে যাত্রা করা হাজার হাজার যাত্রীর সুবিধার্থে এবছর সিয়ালদহ বিভাগ রেকর্ড সংখ্যক ১৪৬টি বিশেষ ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করেছে। গতবছর একই সময়ে যেখানে ৮২টি বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছিল, সেখানে এবছরের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এই পদক্ষেপ যাত্রী চলাচলকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নির্বিঘ্ন করবে। জাতীয় পর্যায়েও ভারতীয় রেলওয়ে এবছর মোট ১২,০০০টি বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে, যা গত বছরের ৭,৭২৪টির তুলনায় অনেক বেশি।
advertisement
আধুনিক ওয়ার রুমের মাধ্যমে হাই-টেক ভিড় পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ: শিয়ালদহ বিভাগ একটি অত্যাধুনিক ওয়ার রুম স্থাপন করেছে, যা বিভাগের সমস্ত স্টেশনের ভিড় পরিস্থিতি রিয়েল-টাইমে নজরদারি করে। এই নিয়ন্ত্রণকক্ষ ২,২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার সঙ্গে সংযুক্ত, যেখান থেকে ২৪x৭ লাইভ ফুটেজ দেখা যায়। প্রশিক্ষিত কর্মী ও অফিসাররা নিরন্তর এই কার্যক্রম তদারকি করছেন।
নির্ধারিত প্রবেশ ও প্রস্থান পথ: বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থান পথ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই যাত্রীদের যথেষ্ট উপকার দিচ্ছে।*আরপিএফ কর্তৃক সারিবদ্ধ যাত্রী নিয়ন্ত্রণ :*রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) কর্মীরা বিশেষভাবে সাধারণ কোচের যাত্রীদের সারিবদ্ধভাবে ওঠানামা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, যাতে ভিড় বা বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায়।
তথ্য প্রচারে জোর: ট্রেনের সময়সূচি, প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুত ও স্পষ্টভাবে প্রচারের জন্য মাইক্রোফোন ও ঘোষণার মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।*টিকিটিং ব্যবস্থায় দক্ষতা :*যাত্রীদের সুবিধার জন্য অতিরিক্ত বুকিং কাউন্টার খোলা হয়েছে এবং মোবাইল অ্যাপ M-UTS ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে ম্যানুয়াল কাউন্টারে ভিড় কমে ও যাত্রীরা দ্রুত টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন।শিয়ালদহ বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শ্রী রাজীব সাক্সেনা বলেন —এই ছটপুজোয় আমাদের প্রধান লক্ষ্য প্রতিটি যাত্রীকে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক যাত্রার অভিজ্ঞতা দেওয়া। বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি, ক্যামেরা-নির্ভর ওয়ার রুম, এবং আরপিএফ-এর কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে আমরা উৎসবের এই সময়ের বাড়তি চাপ সফলভাবে সামলাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।