পাঁশকুড়ার শ্যামসুন্দরপুর পাটনা গ্রাম থেকে প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন তাপসীদেবী। মেদিনীপুরের ওই গ্রাম থেকে জাতীয় সড়ক হয়ে বাগনানের স্কুলে পৌঁছতেন, একইভাবে বাসে চেপেই বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু এদিন বাগনান গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচিত দেবাশীষ পট্টনায়কের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। শিক্ষক দেবাশীষবাবু একদিকে তাপসীদেবীর শিক্ষক ছিলেন, অন্যদিকে স্থানীয় একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠানের সদস্য তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পরলে আরাম, বাড়বে কর্মসংস্থান! নদিয়ায় তাঁতিদের দেওয়া হল ‘বিশেষ’ সুতো
বিকেল ৩:৪৫ নাগাদ বাগনান আমতা মোড় জাতীয় সড়ক থেকে বাইকের পিছনে বসে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তাপসীদেবী। বিকেল ৪টে নাগাদ কোলাঘাটের হলদিয়া মোড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দিঘাগামী একটি বাস বাইকটিতে ধাক্কা মারে। রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন দেবাশীষবাবু ও তাপসীদেবী। জানা যাচ্ছে, অচৈতন্য অবস্থায় দু’জনকে মেচেদার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায় পুলিশ। তাপসীদেবীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসক। গুরুতর জখম দেবাশীষবাবু।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে বাগনান আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার মণ্ডল জানান, তাপসী জানা বিদ্যালয়ের একজন দায়িত্ববান শিক্ষিকার ভূমিকা পালন করতেন। রোজ ১০.১৫ নাগাদ হাজির হতেন। পাঠদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বও সামলাতেন। প্রত্যেক দিন বাসে চেপেই আসা-যাওয়া করতেন। এদিন এক পরিচিতর বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।