প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দত্ত বলেন, “২০১৫ সালে পাখিদের কথা ভেবে বিদ্যালয় জুড়ে প্রচুর পাখির বাসা গাছের মধ্যে ঝুলিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একটা উল্টানো বেঞ্চের মধ্যেও পাখির বাসা করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায় ওই উল্টানো বেঞ্চের মধ্যে একটা পেঁচা এসে বসবাস শুরু করে। তারপর থেকেই বাড়তে থাকে অন্যান্য পাখি সহ পেঁচাদের সংখ্যা।” জানলে অবাক হবেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এই পেঁচাদের নিয়ে রীতিমত গবেষণাও করেছেন। তার দাবি,করোনা কালে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে এই পেঁচা। এমনকি এই সুভাষবাবুর গবেষণা বিদেশি জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে। পেঁচা নিয়ে আরও বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনের জন্য ২০১৯ সালে ‘জাতীয় শিক্ষক সম্মান’, ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তার দাবি,পেঁচারা মানুষের কথা বুঝতে পারে , মানুষের কথাও শোনে। এছাড়াও বিপদ থেকেও আগাম সতর্ক করতে সক্ষম পেঁচা। এমনকি পরিবেশে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পেঁচা। তেমনই কোভিড কালেও নাকি এই পেঁচা তার বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন বলে তাঁর মত।
advertisement
আরও পড়ুন : বিয়েবাড়ি থেকে যাত্রাপালায় ছড়িয়ে পড়ত রোশনাই, নস্টালজিয়া উস্কে দিয়ে উঁকি দিচ্ছে হ্যাজাক বাতি
ছোট ছোট বাচ্চা সহ বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে একাধিক পেঁচা রয়েছে। পেঁচারা সুভাষবাবুর ডাকে সাড়া দেয়, এমনকি কথাও শোনে। পড়ুয়াদেরও এই পেঁচা সম্পর্কে প্রজেক্ট দেওয়া হয়, তারাও অনেক কিছু শিখতে পারে। এছাড়া পেঁচা থাকার কারণে বিদ্যালয়ে কমেছে সাপ, ইঁদুর, টিকটিকি, ব্যাঙের জ্বালাতন। পেঁচা কাজ করছে পরিবেশের সোশ্যাল ভ্যাকসিন হিসেবে। বিদ্যালয়ের মধ্যেই স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছে বিভিন্ন পাখি সহ একাধিক পেঁচা।