এ দিন ছাত্র-ছাত্রীরাও বিশেষ এই ল্যাবটারির বিষয়ে সম্মুখ ধারণা লাভ করল। এদিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের মাটি, তার গঠন, উপযোগিতা ও পরীক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন এগ্রিকালচার কেমিস্ট ডক্টর গৌতম কুমার সরকার, হাবরা ল্যাবরেটরির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ডঃ কৌশিক মজুমদার, স্কুলের শিক্ষকরা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে দক্ষিণে, ভিজবে উত্তরবঙ্গও, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
এই ল্যাবরেটরির মাধ্যমে বিনামূল্যে মাটি পরীক্ষা করার ও সয়েল হেলথ রিপোর্ট চাষীদের মোবাইলে পাঠানোরও ব্যবস্থা রয়েছে বলেই জানান কৌশিক বাবু। তিনি আরও জানান, এই মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট একপ্রকার ‘আধার কার্ড’ হয়ে উঠছে চাষের জমির জন্য। ল্যাবরেটরির চলতি বছরে প্রায় ২৮ হাজার মাটি পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই নাবালককে বেঁধে বেধড়ক মার, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই বিতর্ক, তদন্তে দাঁতন থানা
কৃষিজমি কীভাবে উর্বর করা যায়, কোন সারের প্রয়োগ কতটা প্রয়োজন, সেসব বিষয়েও পরামর্শ দেন ল্যাবের টেকনিশিয়ানরা।ছাত্রছাত্রীরা অন্য ধরনের এই অভিজ্ঞতা পেয়ে বেশ আনন্দিত। তারা জানায়, এত প্রকার মাটি রয়েছে তা তাদের আগে জানা ছিল না। কিভাবে একটি ল্যাবরেটরিতে মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়, সেটাও সরাসরি দেখে তারা উৎসাহী হয়ে ওঠে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত মাটির নমুনা এই ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত আছে, যা ভবিষ্যতে কৃষি-গবেষণার ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে বলে জানান দফতরের আধিকারিকেরা। তারা আরও জানান, আগামী দিনে কৃষি ও শিক্ষা-সংযুক্ত এমন আরও কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। এই ল্যাবরেটরির মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে জ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে আগামী প্রজন্মকে কৃষির সঙ্গে যুক্ত করতে এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।